সাংসদ পঙ্কজ দেবনাথের নামে মিথ্যা তথ্য প্রচার করার কথা স্বীকার করে দুজনের জবানবন্দি

সাংসদ পঙ্কজ দেবনাথ। ছবি: সংগৃহীত
সাংসদ পঙ্কজ দেবনাথ। ছবি: সংগৃহীত

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাংসদ পঙ্কজ দেবনাথের নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য প্রচার করার কথা স্বীকার করে দুজন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত ওই দুই আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

ওই দুই আসামি হলেন জয়পুরহাটের আমান হাসান (২৩) ও মেসবাহুল ইসলাম (২৭)।

তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইমের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাইদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাংসদ পঙ্কজ দেবনাথের বিরুদ্ধে মানহানিকর তথ্য প্রচার করার কথা স্বীকার করে দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য সংঘবদ্ধ এই অপরাধী চক্র ফেসবুক ও ইউটিউবে আপত্তিকর ভিডিও প্রচার করে আসছে।

ফেসবুক ও ইউটিউবে সাংসদ পঙ্কজ দেবনাথের বিরুদ্ধে মানহানিকর তথ্য প্রচারের অভিযোগ এনে ১১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। মামলার বাদী হলেন পঙ্কজ দেবনাথের অনলাইন অ্যাডমিন আলফারেজ ইসলাম। মামলায় ফেসবুকের আটটি লিংক ও ইউটিউবের ১২টি লিংক উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, কয়েকটি ফেসবুক আইডি ও ইউটিউব লিংক থেকে সাংসদ পঙ্কজ দেবনাথের বিরুদ্ধে মিথ্যা মানহানিকর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। মামলা করার পর ১২ সেপ্টেম্বর জয়পুরহাটে অভিযান চালিয়ে আমান হাসান ও মেসবাহুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন এই দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত এই দুই আসামিকে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।

তদন্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, যে দুজনকে জয়পুরহাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের একজন ছাত্র। তিনি হলেন আমান হাসান। জয়পুরহাট সরকারি কলেজে লেখাপড়া করেন তিনি। ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। দুই আসামি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। ফেসবুক ও ইউটিউবে মিথ্যা মানহানিকর তথ্য প্রচারের সঙ্গে যুক্ত মূল হোতাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।