ভারত থেকে আসছে ২০টি ইঞ্জিন

আগামী মাসে ভারত থেকে ২০টি ইঞ্জিন আসতে পারে বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম। এসব ইঞ্জিনের মধ্যে ১০টি মিটারগেজ এবং ১০টি ব্রডগেজ।

মঙ্গলবার রেলভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান রেলমন্ত্রী।

নূরুল ইসলাম বলেন, রেলে ইঞ্জিনের সংকট রয়েছে। ভারতীয় ঋণে ইঞ্জিন কেনার প্রকল্প চলমান। তবে সেগুলো আসবে ২০২২ সাল নাগাদ। এ সময়টায় সংকট কাটাতে ভারতের কাছে কিছু ইঞ্জিন বিক্রি অথবা ভাড়ায় দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভারত ২০টি ইঞ্জিন বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে দিতে রাজি হয়েছে। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময় এই ইঞ্জিনগুলো হস্তান্তর করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন রেলমন্ত্রী।

রেলমন্ত্রী জানান, বর্তমানে রেলের ২৩৩টি ইঞ্জিন রয়েছে। যার ৬৮ শতাংশের আয়ুষ্কাল ফুরিয়ে গেছে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, প্রতিটি ইঞ্জিনের আয়ুষ্কাল ধরা হয় ২০ বছর। কিন্তু ৫০ থেকে ৬০ বছরের পুরোনো ইঞ্জিনও রেলের বহরে আছে। গত বছর ইঞ্জিন সংকট কাটাতে ভারতের কাছে কিছু ইঞ্জিন ভাড়া দেওয়ার প্রস্তাব করেছিল। তবে ভারতে এখন মিটারগেজ ইঞ্জিন চলে না। ফলে তাদের অনেক মিটারগেজ ইঞ্জিন বসেই আছে। ভারতে ব্রডগেজ ইঞ্জিনও প্রচুর। এ অবস্থায় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বিনা মূল্যেই এসব ইঞ্জিন সরবরাহ করতে চেয়েছে। বাংলাদেশ সরকারকে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। জ্বালানি খরচ মেটাতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী জানান, এখন মৈত্রী এক্সপ্রেস (ঢাকা–কলকাতা) ট্রেন সপ্তাহে চার দিন চলাচল করে। তা বাড়িয়ে ছয় দিন করার পরিকল্পনা আছে। বন্ধন এক্সপ্রেস (খুলনা–কলকাতা) ট্রেনটি এক দিনের বদলে সপ্তাহে যেন তিন দিন চলতে পারে, সে বিষয়ে ভারতের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

রেলমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেললাইনের কাজ ২০২৪ সালে শেষ হওয়ার কথা। তবে মাওয়া থেকে ভাঙা অংশের কাজ ২০২১ সালের জুনের মধ্যে শেষ করার চেষ্টা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোফাজ্জেল হোসেন, রেলওয়ের মহাপরিচালক শামসুজ্জামানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।