ছয় মাসের শিশুর পেটের টিউমার নিয়ে হুলুস্থুল

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারে গতকাল মঙ্গলবার ছয় মাস বয়সী শিশুর পেট থেকে প্রায় দেড় কেজি ওজনের একটি টিউমার অপসারণ করা হয়েছে। এ টিউমার নিয়ে হাসপাতালে হুলুস্থুল পড়ে যায়। সবার মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে, শিশুর পেটে শিশু পাওয়া গেছে। তবে অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক বলছেন, এটা নিছক টিউমার।

ছয় মাস বয়সী এ শিশুর নাম তাফসীর রহমান। সে ওয়াসিম আকরাম ও শাহনাজ বেগম দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান। তাঁদের প্রথম ছেলের বয়স পাঁচ বছর। ওয়াসিম একজন রিকশাচালক। শাহনাজ বেগম গৃহিণী। তাঁদের বাড়ি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার অনুপমপুর গ্রামে।

গতকাল সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে তাফসীরের পেট থেকে আরেকটি অপরিণত শিশু বের করা হয়। রামেকের অধ্যক্ষ ও শিশু বিভাগের প্রধান নওশাদ আলী এ অস্ত্রোপচার করেন।

 হাসপাতালের উপপরিচালক সাইফুল ফেরদৌস জানান, যে ধরনের মাংসপিণ্ড পাওয়া গেছে, সেটা আসলে একটা অপরিণত শিশু। যে প্রক্রিয়ায় তাফসীরের পেটে অপরিণত এই শিশু পাওয়া গেছে, তাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয়, ‘ফিটাস ইন ফিটো’। অর্থাৎ ‘শিশুর ভেতর শিশু’। তিনি বলেন, শাহনাজ বেগমের গর্ভে যমজ শিশু জন্ম নিচ্ছিল। কোনো কারণে একটা শিশুর ভ্রূণ আরেকটির ভেতরে ঢুকে যায়। এর ফলে সেই ভ্রূণ স্বাভাবিক শিশু না হয়ে বিকৃতভাবে বড় হতে থাকে। একসময় মারা যায়। আর যে শিশুর পেটের ভেতর এই ঘটনা ঘটে, সে শিশু স্বাভাবিকভাবে জন্মগ্রহণ করে।

তবে চিকিৎসক নওশাদ আলী বলেন, এটা বড় টিউমার। এটা ‘ফিটাস ইন ফিটো’ নয়।

প্রত্যক্ষদর্শী একজন নার্স জানিয়েছেন, টিউমারটি দেখতে বিকৃত মাথার মতো। তার সঙ্গে কিছু নাড়ি রয়েছে। এসবের ওজন দেড় কেজি হতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন। আর তাফসীরের ওজন হতে পারে ছয় কেজি।