হেলমেট নেই তো তেল নেই

হেলমেট না থাকলে তেল মিলবে না মেহেরপুরের পাম্পগুলোতে। আজ বুধবার জেলা ট্রাফিক বিভাগ জেলার প্রতিটি পাম্পে হেলমেট না থাকলে তেল দেওয়া হবে না সংবলিত ব্যানার ঝুলিয়ে দিয়েছে।

রাজধানী ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে ইতিমধ্যে এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। হেলমেট ছাড়া তেল বিক্রি না করায় হেলমেট পরার প্রবণতা কিছুটা হলেও বেড়েছে।

জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মকবুল হোসেন বলেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশে প্রতিটি তেল পাম্পের মালিকদের হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল আরোহীদের কাছে তেল বিক্রি না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এতে সাময়িক অসুবিধা হবে মালিকদের। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সাধারণ মানুষদের আরও সচেতন ও পুলিশকে সহযোগিতা করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে।

মেহেরপুরের পুলিশ সুপার এস এম মোরাদ আলী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে মোটরসাইকেল আরোহীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে পুলিশের এই বিশেষ উদ্যোগ। মেহেরপুরের তিন উপজেলায় অবস্থিত প্রতিটি তেল পাম্পের মালিকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। বৈধ কাগজপত্র যাচাই করার জন্য ট্রাফিক পুলিশ কাজ করছে। এই জেলাতে মোটরসাইকেল আরোহীদের হেলমেট ব্যবহার না করার প্রবণতা রয়েছে। বিশেষ করে তরুণেরা হেলমেট ব্যবহার করেন না। তাঁদের সচেতন করতেই পুলিশের এই পদক্ষেপ।

এ বিষয়ে সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, তরুণদের মধ্যে দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালানোর প্রতিযোগিতা দেখা যাচ্ছে। সড়কগুলোতে সব বয়সী মোটরসাইকেল আরোহীদের হেলমেট ব্যবহার করতে দেখা যায় না। এগুলো পুলিশ চাইলে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। শুধু পাম্প থেকে তেল না দিলেই হেলমেট ব্যবহার করার প্রবণতা তৈরি হবে না। পুলিশকে আরও জোরালো ভূমিকা নিতে হবে।

জেলা সদরের ছহিউদ্দিন ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী বাপন বলেন, ১৬ আগস্ট জেলা পাসপোর্ট অফিসের সামনে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে আমার দুই হাত ভেঙেছে ও সামনের চারটি দাঁতও পড়ে গেছে। হেলমেট থাকলে হয়তোবা দাঁত পড়ে যেত না। পুলিশের বিশেষ এই উদ্যোগ খুব জরুরি হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষ অল্প হলেও হেলমেট ব্যবহার করবে।

বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা আনিছ আহমেদ বলেন, শহরের ভেতরে স্কুল–কলেজ ছুটি হওয়ার সময় দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালান তরুণেরা। উচ্চস্বরে হর্ন বাজান। কারোরই মাথায় হেলমেট থাকে না। মেয়েদের স্কুল থেকে আনতে ওই সময় ভয় লাগে। পুলিশের এ ধরনের কার্যক্রম সড়কে কিছুটা হলেও শৃঙ্খলা আসবে।