সপ্তাহে দুদিন বসবে সীমান্ত হাট

ভারত-বাংলাদেশ যৌথ সীমান্ত হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় বক্তব্য দেন কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভিন। রৌমারী, কুড়িগ্রাম, ১৮ সেপ্টেম্বর। ছবি: প্রথম আলো
ভারত-বাংলাদেশ যৌথ সীমান্ত হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় বক্তব্য দেন কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভিন। রৌমারী, কুড়িগ্রাম, ১৮ সেপ্টেম্বর। ছবি: প্রথম আলো

এখন থেকে সীমান্ত হাট এক দিনের পরিবর্তে সপ্তাহে দুই দিন বসবে। সীমান্ত হাটে বিক্রি করা যাবে ৬৯টি পণ্য। ভারত-বাংলাদেশ যৌথ সীমান্ত হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা শেষে আজ বুধবার কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভিন এ কথা জানান।

সীমান্ত হাটের মান উন্নয়ন ও হাটে পণ্যের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ সীমান্ত হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা আজ বেলা ১১টার দিকে রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলার সীমান্তে অনুষ্ঠিত হয়। তিন ঘণ্টা ধরে হওয়া ওই সভায় বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভিন। ভারতীয় পক্ষে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসক সাউথওয়েস্ট গারো হিল, আমপাতি, মেঘালয়। এ ছাড়া বিজিবির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর ৩৫ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম আজাদ। ভারতের বিএসএফের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সেক্টর কমান্ডার জে পি চৌহান।

মোছা. সুলতানা পারভিন বলেন, সভায় হাট–সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে সীমান্ত হাটে বিজিবি, বিএসএফসহ নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য অস্থায়ী শেড নির্মাণ, সীমান্ত হাটের সময় বৃদ্ধি, বিক্রয়যোগ্য পণ্যের সংখ্যা বাড়ানো ও হাটের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ব্যবস্থার উন্নয়ন অন্যতম।

সভা–সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, হাটে ৬৯টি পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। পণ্য আনা-নেওয়া ও কেনা-বেচার সময় বিএসএফ ও বিজিবি অযথা হয়রানি করবে না। এক দিনের পরিবর্তে সপ্তাহে দুই দিন সোমবার ও মঙ্গলবার হাট বসবে। হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য দুটি টয়লেট ও হাট শেডের মেঝে পাকা করা হবে।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে কুড়িগ্রামের রাজীবপুর ও রৌমারী উপজেলার বালিয়ামারী ও কালায়ের চর নামক স্থানে প্রথম সীমান্ত হাট উদ্বোধন করা হয়।