পাবনায় থানায় বিয়ে: ওসি বরখাস্ত

ওসি ওবায়দুল হক। প্রথম আলো ফাইল ছবি
ওসি ওবায়দুল হক। প্রথম আলো ফাইল ছবি

পাবনায় মামলা না নিয়ে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর সঙ্গে অভিযুক্ত একজনের বিয়ের ঘটনায় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে পুলিশ সদর দপ্তর। পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম আজ বুধবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ মহাপরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারীর পক্ষে সহকারী মহাপরিদর্শক (পারসোনাল ম্যানেজমেন্ট) আব্দুল্লাহিল বাকী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। ফ্যাক্স বার্তার মাধ্যমে বিষয়টি তাঁদের জানানো হয়েছে। বার্তায় ওসি ওবায়দুল হককে চট্টগ্রাম রেঞ্জে সংযুক্তির কথাও জানানো হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশে জেলা প্রশাসনের গঠিত তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি গত রোববার সন্ধ্যায় প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে বলে জানিয়েছেন পাবনার জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ নেওয়াজকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। অন্য দুজন হলেন সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইবনে মিজান ও ডেপুটি সিভিল সার্জন চিকিৎসক কে এম আবু জাফর।

জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সূত্র ধরে চারটি বিষয়ে কমিটি তদন্ত করে। মাঠপর্যায়ে সরেজমিন তদন্ত শেষে গণমাধ্যমে প্রকাশিত ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনটি হাতে পাওয়ার পর রাতেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

৩ সেপ্টেম্বর ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে থানায় যান এক গৃহবধূ। কিন্তু পুলিশ মামলা না নিয়ে পরদিন অভিযুক্ত এক ধর্ষকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে দিয়ে দেন। ঘটনাটি গণমাধ্যমে আসার পর পুলিশ ধর্ষণের মামলাটি গ্রহণ করে ও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা মেলায় ১২ সেপ্টেম্বর ওসি ওবায়দুল হককে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার ও উপপরিদর্শক (এসআই) একরামুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়।