আখাউড়ায় ছাত্রলীগের পদ চাইলে দিতে হবে পরীক্ষা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় ছাত্রলীগের ছয়টি ইউনিটের সম্মেলনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। তবে কাঙ্ক্ষিত পদ পেতে প্রার্থীদের এবার পরীক্ষা দিতে হবে। পদপ্রত্যাশী প্রার্থীদের জন্য লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে উপজেলা ছাত্রলীগ।

এরই মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সাংসদ এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের নির্দেশনা অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুর ‘কারাগারের রোজনামচা’ ও ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বই দুটি পড়া শুরু করেছেন পদপ্রত্যাশী নেতারা। এই বই দুটি থেকেই পরীক্ষায় প্রশ্ন করা হবে।

উপজেলা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আখাউড়া দক্ষিণ, আখাউড়া উত্তর, মনিয়ন্দ, মোগড়া, ধরখার ইউনিয়নের পাঁচটি ইউনিটসহ আখাউড়া রেলওয়ে জংশন শাখা সম্মেলনের প্রস্তুতি শুরু করেছে উপজেলা ছাত্রলীগ। ১২ সেপ্টেম্বর থেকে বিভিন্ন ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীদের ফরম বিক্রি শুরু হয়। আজ বুধবার মনোনয়নপত্র বিক্রির শেষ দিন ছিল। পদপ্রত্যাশীরা ১৯ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। ২৪ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। সম্মেলনের চূড়ান্ত তারিখ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।

উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা জানান, মনোনয়নপত্র সংগ্রহকারীদের এরই মধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর ‘কারাগারের রোজনামচা’ ও ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বই দুটি থেকে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। সঙ্গে প্রত্যেকের ছাত্রত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নেতৃত্ব বাছাই করা হবে।

পরীক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহবুদ্দিন বেগ প্রথম আলোকে বলেন, আপাতত সৃজনশীল পদ্ধতিতে ৬০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা এবং ৪০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। পুরো বিষয়টি আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হবে।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রলীগের নেতৃত্ব বাছাই করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই মোতাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ আইনমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে প্রত্যেক প্রার্থীর জন্য দুটি বই পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, নেতা-কর্মীরাও বিষয়টি ভালোভাবে নিয়েছেন। এতে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি হবে এবং যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি হবে।

আখাউড়া উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, পরীক্ষার মাধ্যমে ছাত্রনেতা তৈরির এমন উদ্যোগ সারা দেশেই নেওয়া উচিত।

আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী নাঈম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, বই দুটি পড়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু সেই নির্দেশনা অনেকেই পালন করছেন না। সম্মেলন উপলক্ষে বইগুলো পড়ার সুযোগ হয়েছে। এটি অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। এতে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা দেশ ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে পারবেন।