শিশুকে গণধর্ষণের পর হত্যা, দুজনের মৃত্যুদণ্ড

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খুলনা নগরের এক শিশুকে গণধর্ষণের পর হত্যার দায়ে দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া আসামিদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩–এর বিচারক মোহাম্মদ মহিদুজ্জামান এ রায় দেন।

সাজা পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন খুলনা নগরের খালিশপুর বাস্তুহারা এলাকার মো. বাবুল হাওলাদার ওরফে কালা বাবুল ও এমদাদ হোসেন। মামলায় চারজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। খালাস পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন খালিশপুরের মো. আশা মিয়া, মো. জাহাঙ্গীর আলী, মো. জাহিদুল ইসলাম ও মো. নজরুল ইসলাম। রায় ঘোষণার সময় সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলাটির রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন ফরিদ আহমেদ ও বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মোমিনুল ইসলাম।

মোমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, খালিশপুরের বাস্তুহারা এলাকার শিশু আফসানা মিমিকে (১৪) ২০০৯ সালে গণধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আফসানার বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই মামলার রায়ে অভিযুক্ত দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মামলার বাদী মিমির বাবা মো. ইমাম হোসেন ওই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি আসামিদের দ্রুত ফাঁসি বাস্তবায়নের দাবি জানান।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাস্তুহারা কলোনির মো. ইমাম হোসেনের ১৪ বছরের মেয়ে আফসানা মিমি ঝালমুড়ি কিনতে বাইরে যায়। এরপর আর সে বাড়ি ফেরেনি। ওই রাতেই খালিশপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন আফসানার বাবা। পরের দিন দুপুরের দিকে আফসানার লাশ বাস্তুহারা দিঘিতে ভেসে থাকতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা খালিশপুর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তবে এজাহারে উল্লেখ করেন, এলাকার বাবুল হাওলাদার, কাদের, এমদাদসহ কয়েকজন তাঁর মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতেন। ২০১০ সালের ২৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খালিশপুর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু মোকাদ্দেশ আলী আদালতে ছয়জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র জমা দেন। মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।