৩ মাসের মধ্যে সব কমিটি করা সম্ভব: ওবায়দুল কাদের

ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

তিন বছরে না হলেও আওয়ামী লীগ চাইলে তিন মাসের মধ্যেই সব কমিটি করা সম্ভব বলে মনে করছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, জেলা-উপজেলায় নিয়মিত সম্মেলন করা না হলেও অনেক কমিটি করা হয়েছে, যেগুলোর সম্মেলন আগে হয়েছিল। এখন অগ্রাধিকারভিত্তিতে মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটিগুলো নতুন করে করা হবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, তিন বছরে কোনো কমিটি করা হয়নি, বিষয়টি ঠিক নয়। কুমিল্লায় ২২ বছর ও নারায়ানগঞ্জে ১৭ বছর পর কমিটি করা হয়েছে। এমন অনেক কমিটি করা হয়েছে গত তিন বছরে।

জাতীয় নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকার পর্যায়ে একাধিক নির্বাচন থাকায় গত তিন বছরে সম্মেলন করা যায়নি বলে মনে করছেন ওবায়দুল কাদের। আগামী জাতীয় সম্মেলন সামনে রেখে সব জেলা-উপজেলায় ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্মেলন শেষ করতে ইতিমধ্যেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত পূজার ছুটি ছাড়া বাকি সময়ে সারা দেশে বর্ধিত সভায় অংশ নেবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। সহযোগী সংগঠনগুলোকেও সম্মেলন করতে বলা হয়েছে।

ছাত্রলীগ নিয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করতে গেলে সাধারণ সম্পাদক বলেন, ছাত্রলীগ নিয়ে একটি শব্দও বলতে চাই না। প্রধানমন্ত্রী নিজেই বিষয়টি দেখছেন। ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। এ আমলে অপকর্ম হয় না, এটা কখনোই দাবি করি না। তবে বিএনপির মতো নয়, বিএনপিতে শাস্তির ব্যবস্থা নেই, আওয়ামী লীগে আছে। সাংসদের বিরুদ্ধেও দুদক চার্জশিট দিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সম্মেলনের প্রস্তুতি সমন্বয় করতে ১২টি উপ-কমিটির খসড়া তৈরি করা হয়েছে। দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চূড়ান্ত করার পর এসব কমিটির তালিকা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। এর আগে দুপুর তিনটা থেকে চারটা পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদকের সভাপতিত্বে বৈঠক করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকেরা।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মেসবাহউদ্দিন সিরাজ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আহমদ হোসেন, এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।