নিহত চালক মিলনের চিকিৎসা প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রাজধানীর শান্তিনগর এলাকার উড়াল সড়কের ওপর ছুরিকাঘাতের পর নিহত অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং নেটওয়ার্কের চালক মো. মিলনের চিকিৎসায় কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল ও তাঁকে অন্য হাসপাতালে কেন স্থানান্তর করা হয়েছিল— এসব বিষয়ে ব্যাখ্যা জানিয়ে সরকারি দুই হাসপাতালের পরিচালককে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বুধবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে আবেদনকারী আইনজীবী এম. সাইফুদ্দিন খোকন নিজে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত। পরে সাইফুদ্দিন খোকন প্রথম আলোকে বলেন, মিলনের চিকিৎসায় কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল ও মরণাপন্ন মিলনকে কেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়- এসব বিষয়ে ব্যাখ্যা জানিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালককে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

‘গলা কেটে হত্যা করে বাইক, ফোন ছিনতাই’ শিরোনামে গত ২৭ আগস্ট প্রথম আলোতে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। এটি যুক্ত করে মিলনের চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম. সাইফুদ্দিন খোকন, যার ওপর শুনানি হয়।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, মো. মিলন (৩৫) রাইড শেয়ারিং অ্যাপে ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন। পুলিশের ধারণা, যাত্রীবেশী কোনো দুর্বৃত্তরা মিলনের গলায় ছুরি চালিয়ে তাঁর মোটরসাইকেল ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। রাজধানীর শান্তিনগর এলাকার উড়াল সড়কের ওপর গত ২৫ আগস্ট গভীর রাতে ওই ঘটনা ঘটে। পরে দ্রুত মিলনকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। হাসপাতালে অস্ত্রোপচারে মিলনের গলায় ক্ষতস্থানে সাতটি সেলাই করা হয়। কিন্তু রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়নি। অবস্থার আরও অবনতি হলে তাঁকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ের পর ২৬ আগস্ট ভোর পৌনে ছয়টার দিকে মারা যান মিলন।