বরিশালে একসঙ্গে ছয়টি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি

বরিশাল
বরিশাল

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় একসঙ্গে ছয়টি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার কলসকাঠি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতেরা ৬০ ভরির বেশি স্বর্ণ, ১০০ ভরির বেশি রুপা ও নগদ কয়েক লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছেন বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।

এ ঘটনায় বাকেরগঞ্জ থানার এক উপসহকারী পরিদর্শক ( এএসআই) গুরুতর আহত হয়েছেন।

বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত দেড়টার দিকে কলসকাঠি বাজারে একদল ডাকাত হানা দেন। ডাকাত দলের সদস্যরা ২-৩টি স্পিডবোটে করে কলসকাঠি বাজারে আসেন। শুরুতে তাঁরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর (ডিবি পুলিশ) পরিচয় দিয়ে একজন নৈশ প্রহরীসহ বাজারে থাকা বেশ কয়েকজনকে ধরে নিয়ে পেছন থেকে হাত বেঁধে ফেলেন। এরপর সবাইকে বাজারের সেবা ফার্মেসি নামের একটি ওষুধের দোকানে নিয়ে আটকে রাখেন। ঘটনার কাছাকাছি থাকা পুলিশের একটি টহল দল বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যায় এবং ডাকাতদলের ৪-৫ সদস্যকে দেখে চ্যালেঞ্জ করে। এর মধ্যেই পুলিশ দলের নেতৃত্বে থাকা এএসআই জসিমের পেছন থেকে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করেন ডাকাত দলের সদস্যেরা। এরপর তাঁকেসহ অন্যদের হাত পেছন থেকে বেঁধে ওই ফার্মেসিতে নিয়ে আটকে রাখে।

ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারের লক্ষ্মী জুয়েলার্স, কলসকাঠি অলংকার ভবন, কানাই কর্মকারের স্বর্ণের দোকান, পাল অলংকার ভবন, সোনার গয়না ভবনসহ ছয়টি স্বর্ণের দোকানে লুটপাট চালান ডাকাতেরা। ডাকাত দলটি তাদের ৬০ ভরির ওপর স্বর্ণ, ১০০ ভরির ওপর রুপা ও নগদ কয়েক লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) আবুল কালাম জানান, খবর পেয়ে থানা-পুলিশের অন্য সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই ডাকাত দলের সদস্যরা পালিয়ে যান। পরে আহত পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ও পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় দুপুরে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। ওই বাজারে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।