কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে দুদকের অভিযান

কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টকে বেশি হারে কমিশন দিয়ে সরকারি অর্থ অপচয়ের অভিযোগ পেয়ে সেখানে অভিযান চালায় দুদক। ছবি: দুদকের সৌজন্যে
কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টকে বেশি হারে কমিশন দিয়ে সরকারি অর্থ অপচয়ের অভিযোগ পেয়ে সেখানে অভিযান চালায় দুদক। ছবি: দুদকের সৌজন্যে

কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে (সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরস ডিপো—সিএমএসডি) সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টকে বেশি হারে কমিশন দিয়ে সরকারি অর্থ অপচয়ের অভিযোগ পেয়ে সেখানে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার এ অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।

দুদক জানিয়েছে, ঢাকা কাস্টম হাউস থেকে মালামাল খালাসের জন্য নিয়োগ করা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের বেশি হারে কমিশন দেওয়া হচ্ছে—এমন অভিযোগ পেয়ে অভিযানে যায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে একটি দল। তারা সরেজমিনে সেখানে গিয়ে জানতে পারে, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে মালামাল খালাসের জন্য নিয়োগ করা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের নির্ধারিত শতকরা ৩০ পয়সা হারে কমিশন দেওয়া হয়। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন কেন্দ্রীয় ঔষধাগার ঢাকা কাস্টম হাউস থেকে মালামাল খালাসে শতকরা ১ টাকা কমিশন দিচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিএমএসডি কর্তৃপক্ষ দুদক দলকে জানায়, একজন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আদালতে রিট করার কারণে ৩০ পয়সার পরিবর্তে ১ টাকা করে কমিশন দেওয়া হচ্ছে। ওই রিটের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে সিএমএসডি কর্তৃপক্ষ দুদককে সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হয়। দুদকের দলটি মনে করছে, সিএমএসডি কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার কারণে সরকারের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এ অভিযোগের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত চেয়ে কমিশনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে দুদক দল।

নাটোর জেলার কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসে ভ্যাট সনদ সংশোধনে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে পেয়ে সেখানে অভিযান চালায় দুদকের একটি দল। রাজশাহীর দুদক দলটি অভিযানে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পায়। কাস্টম অফিসে কর্মরত বেশ কয়েকজন কর্মচারী দালালদের যোগসূত্র হিসেবে কাজ করেন মর্মে জানতে পারে দলটি। অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে অবিলম্বে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ গ্যাস–সংযোগ ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি করার অভিযোগ পেয়ে সেখানে অভিযান চালায় দুদকের কুমিল্লা কার্যালয়। সহকারী পরিচালক রাফী মো. নাজমুস সাদাতের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। দুদকের দলটি বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিডিসিএল) ডিজিএম (ইঞ্জিনিয়ার), ব্যবস্থাপকসহ (ইঞ্জিনিয়ার) অভিযান চালিয়ে অভিযোগের সত্যতা পায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের সুহিলপুর এবং বুধল ইউনিয়নের বিপুল পরিমাণ অবৈধ গ্যাস–সংযোগ উদ্‌ঘাটন করে সমন্বিত দলটি। তাৎক্ষণিকভাবে ১২টি গ্যাস রাইজার এবং অবৈধ গ্যাস–সংযোগের একটি নষ্ট করা হয়।

এ বিষয়ে বাখরাবাদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ওই সব এলাকায় ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা নিয়ে অবৈধ গ্যাস–সংযোগ দিচ্ছেন। কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময়ে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলেও আবারও সংযোগ দেওয়া হয়। দুদকের দলটি বিজিডিসিএলকে তাদের তৎপরতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে।