যুবলীগের নেতা খালিদ ৭ দিনের রিমান্ডে

প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে আনা হয় যুবলীগ নেতা খালিদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত, ১৯ সেপ্টেম্বর। ছবি: দীপু মালাকার
প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে আনা হয় যুবলীগ নেতা খালিদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত, ১৯ সেপ্টেম্বর। ছবি: দীপু মালাকার

অস্ত্র ও মাদক মামলায় যুবলীগের নেতা খালিদ মাহমুদ ভূঁইয়ার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত এই আদেশ দেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে তাঁকে আদালতে হাজির করে গুলশান থানার পুলিশ।

পুলিশের পক্ষ থেকে এই দুই মামলায় ৭ দিন করে মোট ১৪ দিন রিমান্ড চাওয়া হয় খালিদ মাহমুদের বিরুদ্ধে। পরে আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে অস্ত্র মামলায় চার দিন ও মাদক মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

অস্ত্র মামলায় পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতকে বলা হয়, এই মামলার আসামি খালিদ মাহমুদের বাসায় অবৈধ অস্ত্র পাওয়া গেছে। বিদেশি মুদ্রা পাওয়া গেছে। এ ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটনের জন্য তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি। আদালতে দেওয়া পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামি খালিদ মাহমুদ ভূঁইয়া দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অস্ত্র রেখে মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজ করে আসছেন বলে জানা গেছে।

মাদক মামলায় পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতকে বলা হয়, এই মামলার আসামির (খালিদ মাহমুদ) বাসা থেকে ৫৮০টি ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে আর কারা জড়িত, তাদের খুঁজে বের করতে আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ জরুরি।

তবে যুবলীগ নেতা খালিদ মাহমুদের পক্ষে তাঁর আইনজীবী মাহমুদুল হক আদালতের কাছে দাবি করেন, যে দুটি মামলা দেওয়া হয়েছে তা মিথ্যা। খালিদ মাহমুদ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার, তিনি একজন ব্যবসায়ী। ভূঁইয়া ডেভেলপার কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। সরকারকে অনেক টাকা রাজস্ব দিয়ে থাকেন। তাঁর বাসায় যে অস্ত্র পাওয়া গেছে তা বৈধ।

খালিদের আইনজীবী আদালতে অভিযোগ করেন, অভিযানের সময় তাঁর মক্কেলের বাসা থেকে আবাসন কোম্পানিসহ নানা কাগজপত্র নিয়ে যাওয়া হয়। যে কারণে এই মুহূর্তে আদালতের কাছে কাগজপত্র জমা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। খালিদের আইনজীবী আদালতের কাছে আরও দাবি করেন, যুবলীগ নেতা খালিদ মাহমুদ ভূঁইয়া সমাজের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি। তিনি কোনো ‘স্মাগলার’ না।

খালিদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে একজন সৎ ব্যক্তি দাবি করে তাঁর আইনজীবী মাহমুদুল হক আদালতকে আরও বলেন, তিনি অসুস্থ। তাঁকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নামঞ্জুর করে জামিন দেওয়া হোক।

সরেজমিনে দেখা গেছে, খালিদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে প্রিজন ভ্যানে করে ঢাকার আদালতে আনা হয়। হাতকড়া পরিয়ে তাঁকে আদালতের এজলাসে তোলা হয়। লোহার তৈরি আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন এই যুবলীগ নেতা। তবে আদালতে তিনি কোনো কথা বলেননি। শুনানি শেষ হলে রাত ৯টার পর আবারও তাঁকে প্রিজন ভ্যানে করে নিয়ে যায় গুলশান থানার পুলিশ। বিকেল থেকে যুবলীগের কিছু কর্মীকে আদালত প্রাঙ্গণে দেখা যায়। তবে যুবলীগের কাউকে কোনো ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায়নি। আদালতে কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টনী গড়ে তোলা হয়। বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে যুবলীগ নেতা খালিদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব