বিআরটিএর মৃত কর্মকর্তার ঘরে ৩৩ লাখ টাকা

টাকা। প্রতীকী ছবি
টাকা। প্রতীকী ছবি

সড়ক পরিবহন নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিআরটিএ) ঝিনাইদহের সহকারী পরিচালক বিলাস সরকার (৫২) সাত দিন আগে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। পরে তাঁর ভাড়া বাসায় কর্মচারীরা তালা ভেঙে মালামাল সরাতে গিয়ে তাঁর আলমারি থেকে ৩৩ লাখ ১৮ হাজার টাকা ও ৬টি চেক পান। টাকাগুলো জেলা প্রশাসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পর তিনি সেগুলো জব্দ করেছেন।

স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর ধরে ঝিনাইদহ বিআরটিএর জেলা প্রধান হিসেবে কাজ করছিলেন বিলাস সরকার। তাঁর স্ত্রী ও সন্তানেরা ঢাকায় থাকেন। ঝিনাইদহ শহরের কলাবাগান এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় তিনি একাই থাকতেন। সম্প্রতি তাঁর মৃত্যুর পর পরিবারের কেউ ভাড়া বাসার মালামাল নিতে আসেনি। এমনকি তালাও খোলা হচ্ছিল না। এ অবস্থায় গত বুধবার রাতে স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে তালা খোলেন বাসার দুই কর্মচারী। বাসার মালামাল সরানোর সময় আলমারির ড্রয়ার ও তার গোপন কুঠির দিকে সবার চোখ যায়। সেগুলো ভাঙার পর বেরিয়ে আসে ১০০০ ও ৫০০ টাকার অনেকগুলো বান্ডিল এবং চেক বইয়ের ৬টি ছেঁড়া পাতা। গুনে দেখা যায় ৩৩ লাখ ১৮ হাজার টাকা রয়েছে। এত টাকা দেখে উপস্থিত সবাই হতবাক হন।

কর্মচারীরা জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথের কাছে সব নিয়ে যান। ভাড়া বাসার আলমারিতে এত টাকা থাকার বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হয় জেলা প্রশাসকের। তিনি টাকাগুলো জব্দ করেন।

পরে মৃত কর্মকর্তার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এই টাকা তিনি ব্যাংক থেকে ঋণ হিসেবে নিয়েছিলেন। জেলা প্রশাসক তাৎক্ষণিকভাবে বাসায় পাওয়া চেকগুলোর বিপরীতে কয়েকটি ব্যাংকে খোঁজ নেন এবং নিশ্চিত হন কোনো ব্যাংকে তাঁর বড় অংকের কোনো ঋণ নেই। এই অর্থ অবৈধ পথে উপার্জন করা হয়েছে সন্দেহে সমস্ত টাকা জব্দ করে সিলগালা করা হয়।

জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ টাকা জব্দ করার কথা নিশ্চিত করেন।