কৃষক লীগ নেতা শফিকুল ১০ দিন রিমান্ডে

অস্ত্র ও মাদক মামলায় কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের চেয়ারম্যান ও কৃষক লীগ নেতা শফিকুল আলম ফিরোজকে আজ আদালতে হাজির করা হয়। ছবি: দীপু মালাকার
অস্ত্র ও মাদক মামলায় কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের চেয়ারম্যান ও কৃষক লীগ নেতা শফিকুল আলম ফিরোজকে আজ আদালতে হাজির করা হয়। ছবি: দীপু মালাকার

অস্ত্র ও মাদক মামলায় কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের চেয়ারম্যান ও কৃষক লীগ নেতা শফিকুল আলম ফিরোজকে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ শনিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত এই আদেশ দেন।

এর আগে শফিকুল আলম ফিরোজকে আদালতে হাজির করে ধানমন্ডি থানার দুই মামলায় ১০ দিন করে বিশ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে প্রতিবেদন দিয়ে বলা হয়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব গতকাল শুক্রবার জানতে পারে, আসামি শফিকুল আলম ফিরোজ কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের ভিডিও অবৈধ অস্ত্র রেখে সেখানে মাদক কেনাবেচা করছেন। এই তথ্য পাওয়ার পর বিকেল চারটার দিকে র‍্যাব সদস্যরা কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের অফিস ঘিরে রাখে। র‍্যাবের একজন নির্বাহী হাকিমের নেতৃত্বে সন্ধ্যায় সেখানে অভিযান চালানো হয়। কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের অফিস থেকে ৯শ ৯০ পিস ইয়াবা এবং একটি অবৈধ অস্ত্র পাওয়া যায়। ঘটনাস্থল থেকে আসামি শফিকুল আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার করার পর জিজ্ঞাসাবাদে শফিকুল স্বীকার করেন, ওই অফিসে অবৈধ অস্ত্র রেখে তিনি মাদক দ্রব্য বেচাকেনা করে আসছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান আদালতকে বলেন, আসামি শফিকুল আলম ফিরোজ কলাবাগান ক্রীড়াচক্র অবৈধ অস্ত্র রেখে মাদক ব্যবসা করে আসছিলেন। তাকে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক। রাষ্ট্রপক্ষের আরেকজন আইনজীবী আদালতকে বলেন, ক্রীড়াচক্রের কাজ যেখানে ভালো খেলোয়াড় তৈরি করার সেখানে এই আসামি অবৈধভাবে মাদক ব্যবসা করে আসছিলেন। ক্রীড়া চক্রে ক্যাসিনো খুলে জুয়া চক্রে পরিণত করেছেন।

তবে আসামি শফিকুল আলম ফিরোজের আইনজীবী মাসুদ এ চৌধুরী আদালতকে বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁর মক্কেলকে হয়রানি করা হচ্ছে। কলাবাগান ক্রীড়াচক্র কোনো ক্যাসিনো খোলা হয়নি। ২৭ বছর ধরে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের সভাপতি দায়িত্ব পালন করে আসছেন। যে কারণে তাকে হয়রানি করার জন্য এই মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা আদালতের কাছে আরও দাবি করেন, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন শফিকুল আলম। তিনি নিজে মাদকের বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার ছিলেন। র‍্যাবের সদস্যরা যখন দুপুর বেলাতে কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ঘিরে রেখেছে তখন এই আসামি নয় শ ৯০ পিস ইয়াবা এবং অস্ত্র রেখে সেখানে অবস্থান করবেন এটা মোটেও বিশ্বাসযোগ্য নয়। র‍্যাব সদস্যরা যেখানে সাম্প্রতিক সময়ে যেসব অভিযান চালিয়েছে সেখানে গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন কিন্তু কলাবাগান ক্রীড়াচক্র অভিযান চালানোর সময় গণমাধ্যমকর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।

উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত মাদক মামলায় পাঁচ দিন এবং অস্ত্র মামলায় পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন।