মির্জা ফখরুলের উচিত সরকারকে সাধুবাদ জানানো: তথ্যমন্ত্রী

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ছবি: বাসস
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ছবি: বাসস

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের উচিত দেশে যেকোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকারের অভিযানের জন্য সরকারকে অভিনন্দন ও সাধুবাদ জানানো এবং নিজেদের অতীতের অপকর্মের জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া।

তথ্যমন্ত্রী আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে দ্য সিনিয়র সিটিজেনস সোসাইটি চট্টগ্রাম আয়োজিত বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে মির্জা ফখরুল ইসলামের একটি বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যন্ত পুরোপুরি দুর্নীতিতে নিমজ্জিত’—বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগের কড়া সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নিজেদের বগলের তলায় উৎকট গন্ধ নিয়ে বিএনপি নাকে গন্ধ খুঁজছে।’

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির আমলে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়েছে। হাওয়া ভবন তৈরি করে সব ব্যবসা থেকে ১০ শতাংশ করে কমিশন নেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘হাওয়া ভবনের দুর্নীতির সঙ্গে তারেক রহমানের সংশ্লিষ্টতা, বিএনপির বড় বড় মন্ত্রীর সংশ্লিষ্টতা আমরা দেখেছি।’ হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলামের নেত্রী খালেদা জিয়া অবৈধভাবে অর্জিত কালোটাকা সাদা করেছিলেন জরিমানা দিয়ে। কোকোর দুর্নীতি ধরা পড়েছে সিঙ্গাপুরে। তারেক রহমানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে এফবিআই এসে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে। দুর্নীতির দায়ে তারেক রহমানের ১০ বছর সাজা হয়েছে। এতিমদের জন্য টাকা এনে সেই টাকা এতিমখানার অ্যাকাউন্টে না রেখে নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে নিয়ে খালেদা জিয়া নিজে দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে আজকে জেলখানায় আছেন উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যাদের নেতা-নেত্রী দেশকে দুর্নীতিতে আকুণ্ঠ নিমজ্জিত করেছিল, তাদের তো এ নিয়ে কথা বলার নৈতিক অধিকারই নেই।’
চট্টগ্রামে জুয়ার আসর পরিচালনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরকারের পদক্ষেপের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় অভিযান চলছে। চট্টগ্রামেও হয়েছে। যেখানেই অনিয়ম পাওয়া যাবে, সেখানেই এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দ্য সিনিয়র সিটিজেনস সোসাইটি চট্টগ্রামের সভাপতি দৈনিক ‘আজাদী’র সম্পাদক এম এ মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, বিশেষ অতিথি ছিলেন দ্য সিনিয়র সিটিজেনস সোসাইটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আবু বকর ছিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক আজহার মিয়া।

অনুষ্ঠানে সংগঠনের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মোহাম্মদ আলী, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান এ এ এম জিয়া হোসাইন, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রণব কুমার বড়ুয়া, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, কবি ও লেখক সাংবাদিক অরুণ দাশগুপ্ত ও উদীচী চট্টগ্রামের সভাপতি লেখক মুশতারি শফিকে খ্যাতিমান বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক সম্মাননা দেওয়া হয়।