সেই এএসআইয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি

গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় প্রত্যাহারের পর ফেনীর সোনাগাজী মডেল থানার সেই সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সুজন কুমার দাসের বিরুদ্ধে এবার তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে সুজনকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে যুক্ত করা হয়।

তদন্ত কমিটিতে আছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি অফিসের অপরাধ বিভাগের পুলিশ সুপার মো. হাসান বারি নুর, ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আতাউর রহমান ও বিশেষ শাখার সহকারী পুলিশ সুপার মো. খালেদ হোসেন। কমিটিকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে ডিআইজির কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

সোনাগাজী সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. সাইকুল আহমেদ ভূঁইয়া প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মো. সাইকুল আহমেদ আজ শনিবার বিকেলে সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, ধর্ষণের ঘটনায় নয়, এএসআই সুজনকে মূলত দায়িত্বে অবহেলার কারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে জেলা পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

মো. সাইকুল আহমেদ বলেন, গণধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ ১০-১১ সেপ্টেম্বর জমিসংক্রান্ত বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেন। এএসআই সুজনকে ওসি সাহেব অভিযোগটি তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সুজন কিছুটা কালক্ষেপণ করায় ওই নারী কয়েকবার থানায় এসেছিলেন। থানায় আসা-যাওয়ার মাঝখানে দুর্বৃত্তের হাতে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। বুধবার থানায় ধর্ষণের মামলা করার সময় ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তা সুজনের নাম উল্লেখ করেননি। তবে বৃহস্পতিবার ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার সময় ওই গৃহবধূ জানান, এএসআই সুজন তাঁকে দুবার ধর্ষণ করেছেন।

সাইকুল আহমেদ আরও বলেন, এএসআই সুজনের বিরুদ্ধে আদালতে জবানবন্দির পর তাঁকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার তদন্ত কমিটির তদন্তে যদি সুজন দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে অবশ্যই তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারও অপরাধে দায়ভার কেউ নেবে না।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সোনাগাজী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. খালেদ হোসেন বলেন, ওই গৃহবধূর গণধর্ষণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।