লেকড্রাইভ সড়কে নেই বাতি

হাতিরঝিল মোড় থেকে শাহজাদপুর পর্যন্ত লেকড্রাইভ সড়কে কোনো বাতি জ্বলে না। ছবি: প্রথম আলো
হাতিরঝিল মোড় থেকে শাহজাদপুর পর্যন্ত লেকড্রাইভ সড়কে কোনো বাতি জ্বলে না। ছবি: প্রথম আলো

বাড্ডার হাতিরঝিল মোড় থেকে শাহজাদপুর পর্যন্ত লেকড্রাইভ সড়কে কোনো বাতি জ্বলে না। সন্ধ্যার পরই পুরো সড়ক অন্ধকারে ডুবে যায়। তখন লেকপাড়ে হাঁটার সময় নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

২ দশমিক ৪০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটি গত বছরের নভেম্বরে উদ্বোধন করা হয়। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) লেক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে।

গত বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, বাড্ডা থেকে শাহজাদপুর পর্যন্ত পুরো সড়কে অন্তত ১১৩টি সড়কবাতির খুঁটি আছে। প্রতিটি খুঁটিতে তিনটি করে বাতি বসানোর জায়গা। এ হিসাবে ১১৩টি খুঁটিতে ৩৩৯টি বাতি থাকার কথা। কিন্তু সন্ধ্যার পর সড়কটিতে গিয়ে মাত্র পাঁচটি বাতি জ্বলতে দেখা গেছে। গুলশান গুদারাঘাট থেকে উত্তর অংশে বারিধারার দিকে একটি বাতিও জ্বলে না। বাতিগুলোর কোনোটি নষ্ট, আবার কোনোটি চুরি হয়ে গেছে।

হাতিরঝিল মোড় থেকে শাহজাদপুর পর্যন্ত লেকড্রাইভ সড়ক সন্ধ্যার পরই অন্ধকারে ডুবে যায়। ছবি: প্রথম আলো
হাতিরঝিল মোড় থেকে শাহজাদপুর পর্যন্ত লেকড্রাইভ সড়ক সন্ধ্যার পরই অন্ধকারে ডুবে যায়। ছবি: প্রথম আলো

গুলশান লেকের পাড়ে ৩০ ফুট চওড়া এই সড়ক নির্মাণের মূল উদ্দেশ্য ছিল গুলশান অ্যাভিনিউর যানজট কমানো। এ ছাড়া লেকের পাড়ে ৬ ফুট আর বিপরীত পাশে ৩ ফুট চওড়া ফুটপাত নির্মাণ করা হয়েছে, যাতে লোকজন হাঁটতে-বেড়াতে আসতে পারে।
তবে বাতি নষ্টের কারণে অনেকে এখন লেকের পাড়ের ওই ফুটপাতে হাঁটতে যান না। এমনকি রাতে অনেক ব্যক্তিগত গাড়িও সড়কটি এড়িয়ে চলে।

গুলশান-২-এর বাসিন্দা আবদুল মান্নান প্রায়ই সন্ধ্যার পর ওই সড়ক দিয়ে বাসায় ফেরেন। তিনি বলেন, বাতিগুলো এক এক করে নষ্ট হয়ে গেছে। কিছু বাতি চুরি কিংবা নষ্ট করে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। কয়েক মাস আগে সব বাতিই বন্ধ হয়ে যায়।

বাড্ডার বাসিন্দা সুমনা খান বলেন, ‘আগে প্রায়ই বিকেলে লেকের পাড়ে বেড়াতে যেতাম। কখনো কখনো সন্ধ্যার পরও লেকপাড়ে অবস্থান করতাম। বাতি না থাকায় এখন আর আগের মতো যাওয়া হয় না।’

স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা বলেন, বাতি না থাকায় লেকপাড় মাদকসেবীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে। সন্ধ্যার পর লেকপাড়ে মাদক সেবন করে মাদকসেবীরা। এ কারণে অনেকে লেকের পাড় এড়িয়ে চলে।

গুলশান সোসাইটির মহাসচিব শুক্লা সারওয়াত সিরাজ বলেন, অন্ধকারের কারণে অনেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। সড়কটি এড়িয়ে চলেন। তিনি আরও বলেন, সড়কটি নানা কারণে প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ। আগের মতো গুলশান অ্যাভিনিউর ওপর চাপ পড়ছে।

লেকড্রাইভ সড়কের বাতিগুলোর কোনোটি নষ্ট, আবার কোনোটি চুরি হয়ে গেছে। ছবি: প্রথম আলো
লেকড্রাইভ সড়কের বাতিগুলোর কোনোটি নষ্ট, আবার কোনোটি চুরি হয়ে গেছে। ছবি: প্রথম আলো

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএনসিসির অঞ্চল-৩-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মীর নাহিদ আহসান বলেন, অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলীর (বিদ্যুতের) সঙ্গে কথা বলে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।