আবৃত্তির মানুষ কামরুল হাসান মঞ্জু আর নেই

কামরুল হাসান মঞ্জু। ছবি: সংগৃহীত
কামরুল হাসান মঞ্জু। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন কামরুল হাসান মঞ্জু। সাংস্কৃতিক অঙ্গন থেকে বেশ দূরে ছিলেন এই সময়টাতে। শনিবার সন্ধ্যায় তিনি চিরতরে অনতিক্রম দূরত্বে চলে গেছেন। সন্ধ্যা ৭টায় মারা গেছেন এই আবৃত্তিশিল্পী (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। 

কামরুল হাসান মঞ্জুর ছোট ভাই মইনুল হাসান বিপ্লব প্রথম আলোকে তাঁর ভাইয়ের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সন্ধ্যায় বসুন্ধরা আবাসিকের বাসায় নাস্তার টেবিলে হঠাৎ বমি শুরু করেন মঞ্জু। এ অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তারেরা মৃত্যু ঘোষণা করেন। এর আগে তিনি আরও তিনবার স্ট্রোক করেছিলেন।

কামরুল হাসান মঞ্জু ১৯৫৬ সালের ১৬ জানুয়ারি যশোরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ছোটভাই জানান, শনিবার রাতেই তাঁর জানাযার নামাজ পড়ানো হয়। সেখান থেকেই দাফনের উদ্দেশে যশোর রওনা হন তাঁরা। রোববার যশোর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে মঞ্জুর দাফন হওয়ার কথা রয়েছে।

আবৃত্তিচর্চার পাশাপাশি লেখালেখিও করতেন কামরুল হাসান মঞ্জু। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জীবনানন্দ দাশ, শক্তি চট্টোপাধ্যায়,পূর্ণেন্দু পত্রী, জয় গোস্বামী, সুভাষ মুখোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সৈয়দ শামসুল হক, শামসুর রাহমান, নির্মলেন্দু গুণের মতো বিখ্যাত কবিদের কবিতা তাঁর কণ্ঠেই তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করে। তাঁর আবৃত্তি করা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতা ‘চে তোমার মৃত্যু আমাকে অপরাধী করে দেয়’ ব্যাপক জনপ্রিয় হয়।
বেশ কিছু আবৃত্তি অ্যালবামও বিভিন্ন বিষয়ে লেখা বই রয়েছে তাঁর। ঢাকায় আবৃত্তি কর্মশালা কিংবা কোনো কোর্স হয়েছে, অথচ কামরুল হাসান প্রশিক্ষক হিসেবে নেই, এমন ঘটনা কম ঘটেছে। কিন্তু একসময় স্ট্রোক করে অসুস্থ হয়ে পড়লে ধীরে ধীরে সবকিছু থেকে দূরে সরে যান।