বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করতে হবে: গণপূর্তমন্ত্রী

গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। প্রথম আলো ফাইল
গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। প্রথম আলো ফাইল

গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও বাঙালি অভিন্ন সত্তা। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ সৃষ্টি হতো না। তাঁর জীবনের আরাধ্য সাধনা ছিল পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করে একটি শোষণহীন, বৈষম্যহীন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মনেপ্রাণে বিশ্বাস এবং নৈতিকতা ও মূল্যবোধে ধারণ করতে হবে। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু কী চেয়েছিলেন, কীভাবে দেশটাকে সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত করতে চেয়েছিলেন, সে জায়গায় আমাদের কাজ করতে হবে।’

শনিবার রাতে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী হলে প্রথম পদ্মা-গঙ্গা-গোমতী লিভার সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এসব কথা বলেন।

গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী সামনে রেখে ফোরাম ফর দ্য স্টাডি অব দ্য লিভার, বাংলাদেশ, লিভার ফাউন্ডেশন ওয়েস্ট বেঙ্গল, ভারত ও হেপাটাইটিস ফাউন্ডেশন অব ত্রিপুরার যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, মানুষের সাংবিধানিক মৌলিক চাহিদার অন্যতম স্বাস্থ্যসেবা। চিকিৎসাশাস্ত্রে সম্পৃক্ত সবাইকে এই মহান পেশার মর্যাদা ও মানোন্নয়নে আরও বেশি যত্নশীল হতে হবে। পেশাদারিত্বের উৎকর্ষ সাধন করে অমূল্য অবদান রেখে যাওয়ার ব্রত থাকতে হবে। যে ব্যক্তি তার অস্তিত্বের উৎস, শিকড়ের ইতিহাস জানে না, সে ব্যক্তি দেশসেবায় আত্মনিয়োগ করতে পারে না। এ জন্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনাকে ধারণ করে চিকিৎসকদের জাতির সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে।

গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সরকারি কর্মসূচির পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর স্মরণে বাংলাভাষী লিভার বিশেষজ্ঞদের তিনটি সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে ঢাকা, আগরতলা ও কলকাতায় তিনটি ‘পদ্মা-গঙ্গা-গোমতী লিভার সম্মেলন’ আয়োজন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এ আয়োজন প্রমাণ করে বঙ্গবন্ধু ছিলেন অবিসংবাদিত বিশ্বনেতা।

রাষ্ট্র পরিচালনায় বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী নেতৃত্বের কথা স্মরণ করে শ ম রেজাউল করিম বলেন, বঙ্গবন্ধু জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় ছিলেন সদা সোচ্চার। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা যখন দেশটির হাল ধরেন, তখন সারা দেশে চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিল অত্যন্ত সংকটপূর্ণ। তিনি গরিব মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করেছিলেন। সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থাকে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে প্রতি উপজেলায় হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন।

ফোরাম ফর দ্য স্টাডি অব দ্য লিভার, বাংলাদেশের অনারারি চেয়ারম্যান শ্যামলী নাসরিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসান, তথ্য মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী সামনে রেখে ‘শতবর্ষের পথে বঙ্গবন্ধু, গর্বিত বাঙালির জয়যাত্রা’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ফোরাম ফর দ্য স্টাডি অব দ্য লিভার, বাংলাদেশ, লিভার ফাউন্ডেশন ওয়েস্ট বেঙ্গল, ভারত ও হেপাটাইটিস ফাউন্ডেশন অব ত্রিপুরা, ভারতের যৌথ উদ্যোগে ঢাকা, আগরতলা ও কলকাতায় তিনটি ‘পদ্মা-গঙ্গা-গোমতী লিভার সম্মেলন’ আয়োজন করা হচ্ছে। এর প্রথমটি ঢাকায় দুই দিনব্যাপী ২১-২২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাংলাভাষী লিভার বিশেষজ্ঞদের কৃতিত্ব ও অর্জনগুলো বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার প্রয়াসে এ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে।