এনআইডি জালিয়াতি: আরও ৪ ইসি কর্মীকে নিয়ে গেছে পুলিশ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআই) জালিয়াতির ঘটনায় আরও তিন ডেটা এন্ট্রি অপারেটরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেছে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে তাদের চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে তদন্তকারী সংস্থা নিয়ে যায়।

তাদের মধ্যে একজন নারী এবং তিনজন পুরুষ কর্মী। প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন কাউন্টার টেররিজমের অতিরিক্ত উপকমিশনার পলাশ কান্তি নাথ।

এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে গ্রেপ্তার হওয়া জয়নাল আবেদিন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। তাতে এই চারজনের নাম উঠে আসে বলে জানা গেছে।

রোহিঙ্গাদের এনআইডি দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদিনকে ১৭ সেপ্টেম্বর সাময়িক বরখাস্ত করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়। ওই দিন ভোরে রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি ও ল্যাপটপ গায়েব করার অভিযোগে অফিস সহায়ক জয়নালসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং নির্বাচন কমিশন আইনে মামলাটি করা হয়েছে। মামলায় জয়নাল আবেদিন, তাঁর দুই সহযোগী বিজয় দাস ও তাঁর বোন সীমা দাস এবং আরও দুজনকে আসামি করা হয়েছে। এর আগের দিন ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে জয়নালসহ তিনজনকে আটক করে কোতোয়ালি থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এদিকে ১৯ সেপ্টেম্বর ইসির ল্যাপটপ, পেনড্রাইভসহ কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের হাতে গ্রেপ্তার হন ইসির ডেটা এন্ট্রি অপারেটর মোস্তফা ফারুক। তাঁকে পরের দিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

সম্প্রতি রমজান বিবি নামের এক রোহিঙ্গা নারী ‘লাকী’ নাম দিয়ে স্মার্ট কার্ড উত্তোলনের জন্য তাঁর এনআইডি নিয়ে গত ১৮ আগস্ট চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে যান। সার্ভারে খোঁজ করলে লাকীর যাবতীয় তথ্য সংরক্ষিত আছে বলে দেখা যায়। লাকীর কথাবার্তায় সন্দেহ হলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা হাটহাজারী উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে যোগাযোগ করেন। সেখান থেকে জানানো হয়, ভোটার হিসেবে নিবন্ধন কিংবা লাকীর নামে জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যু করা হয়নি। কাগজপত্রে কোথাও কিছু নেই। এ ঘটনায় হাটহাজারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। ঘটনার পর ঢাকা ও চট্টগ্রাম নির্বাচন কমিশন কার্যালয় পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। পাশাপাশি কোতোয়ালি থানা-পুলিশও তদন্ত শুরু করে। এতে দেখা যায়, অনেক রোহিঙ্গাই এভাবে ভুয়া এনআইডি করছেন।