বরিশালে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে রিমা আক্তার (২৪) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের পটিবাড়ি গ্রামে আজ রোববার সকালে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গৃহবধূর পরিবারের দাবি, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা যৌতুকের দাবিতে রিমাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে।

এ ঘটনায় গৃহবধূর মেজ ভাই মাইনুল ইসলাম বাদী হয়ে রিমার স্বামী, শ্বশুর ও দেবরের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে উজিরপুর মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ, উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের মো. মিজান ব্যাপারীর (৩০) সঙ্গে কয়েক বছর আগে বিয়ে হয় রিমার। বিয়ের সময় প্রায় আড়াই লাখ টাকার জিনিস দেয় রিমার পরিবার। বিয়ের দুই বছর পার হওয়ার আগেই বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক এনে দেওয়ার জন্য রিমাকে চাপ দিতে থাকে মিজান। গত বৃহস্পতিবার ফোন করে রিমা জানান, তিন দিনের মধ্যে তিন লাখ টাকা না দিলে তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন মিজান। রোববার সকাল নয়টার দিকে মিজান রিমার বড় ভাই বুলবুল মিয়াকে ফোন করে জানান, রিমা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। যৌতুক না পেয়ে রিমাকে হত্যা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করে রিমার পরিবার।

গৃহবধূর মেজ ভাই মাইনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বোন রিমাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমি রিমার স্বামী মিজান ব্যাপারী, শ্বশুর মান্নান ব্যাপারী, দেবর মোসাদ্দেক ব্যাপারীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে থানায় হত্যার অভিযোগ করেছি।’

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে খুনের কথা অস্বীকার করে রিমার স্বামী মিজান ব্যাপারী বলেন, পারিবারিক কলহের কারণে রিমা অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে।

উজিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রুহুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, লাশের গলাসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে।

উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিশির কুমার পাল প্রথম আলোকে বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। গৃহবধূর স্বজনেরা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।