হত্যার ১৭ বছর পর রায়ে দুজনের মৃত্যুদণ্ড

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ঝালকাঠিতে ডাকাতি করতে গিয়ে আনোয়ারা বেগম (৪৫) নামের এক নারীকে হত্যার দায়ে দুজনকে মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। হত্যার ১৭ বছর পর রায় হলো।

আজ সোমবার দুপুরে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ মো. তোফায়েল হাসান আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সদর উপজেলার রাজপাশা গ্রামের খায়রুল আলম ওরফে শেখ হাসান (৫০) এবং একই গ্রামের পিন্টাল ওরফে পিন্টু (৪৫)। আদালত তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন।

যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিতরা হলেন সদর উপজেলার রাজপাশা গ্রামের দুই ভাই রিপন মিয়া (৪৫) ও সালাম মিয়া (৪২) এবং সাহাদাৎ হোসেন (৪০)। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর দুই আসামি মামুন মিয়া ও গিয়াস মিয়াকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এম আলম খান কামাল বলেন, ২০০২ সালের ১৩ মে রাতে ঝালকাঠি সদর উপজেলার রাজপাশা গ্রামের মকবুল সিকাদারের বাড়িতে ডাকাতি করতে যায় ডাকাতের দল। মকবুলের ছেলে লিটন সিকদার ডাকাতদের চিনে ফেলেন। এর কয়েক দিন পরে ১৭ মার্চ আসামিরা একই বাড়িতে ডাকাতির জন্য হানা দেন। লিটনকে কুপিয়ে আহত করেন ডাকাত দল। এ সময় লিটনের মা আনোয়ারা বেগম ডাকাতদের চিনে ফেলে চিৎকার দেন। তখন তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

মামলার নথি ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ঘটনার পরের দিন ১৮ মে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসান নিহত আনোয়ারা বেগমকে নিজের ফুপু পরিচয় দিয়ে ঝালকাঠি সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় ওই গ্রামের ৫ ব্যক্তিসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। পরে পিরোজপুর গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মোজাম্মেল হক ২০০৩ সালের ১০ অক্টোবর শেখ হাসানের করা মামলায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে সাতজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর এসআই কাজী আশ্রাফ আলী আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত ২০০৫ সালের ১০ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুর রশিদ সিকদার রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।’