নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিস্ফোরণে রোহিঙ্গা নিহত

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় মিয়ানমার সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গা নাগরিক নিহত হয়েছেন। স্থানীয় পুলিশের ধারণা, স্থলমাইন বিস্ফোরণেই ওই ব্যক্তি নিহত হন। আজ সোমবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বেলা পৌনে দুইটার দিকে বিজিবি ও পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

বিজিবি ও পুলিশ জানায়, সকালে স্থানীয় লোকজন জানান, ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাড়ি সীমান্তের শূন্যরেখায় এক ব্যক্তির লাশ পড়ে রয়েছে। বিজিবি ও পুলিশ গিয়ে ৩৮ ও ৩৯ নম্বর সীমান্ত পিলারের মাঝামাঝি থোয়াইঙ্গঝিরি থেকে লাশ উদ্ধার করে। বিস্ফোরণে নিহত ব্যক্তির নাম আবদুল মজিদ (৩২)। তিনি মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা নাগরিক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘুমধুম পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক ইমন কান্তি চৌধুরী বলেছেন, লাশ উদ্ধারের পর স্থানীয় লোকজন ও উখিয়ার কুতুপালংয়ের রোহিঙ্গারা লাশটি শনাক্ত করেছে। নিহত আবদুল মজিদের বাবার নাম আবদুল মালেক। তিনি কুতুপালং ২ নম্বর শরণার্থী ক্যাম্পের ব্লক-ডি-১ শিবিরের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁরা তিন-চারজন গোপনে সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এ সময় মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিজিবি কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ বলেছেন, স্থলমাইন বিস্ফোরণে আবদুল মজিদ নিহত হয়েছেন কি না, তা নিশ্চিত নয়। তবে কিছু একটা বিস্ফোরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। আগেও ওই এলাকায় একজনের মৃত্যু হয়েছিল। এ ব্যাপারে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ড পুলিশের সঙ্গে আলাপ হয়েছে।