ছাত্রদলের ওপর হামলাকে গণতন্ত্রের ওপরে হামলা বললেন ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের ওপর হামলার ঘটনাকে গণতন্ত্রের ওপর হামলা বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই ঘটনাকে ন্যক্কারজনক জানিয়ে তিনি এর বিচার দাবি করেছেন।

আজ সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার ছাত্রদলের ৩০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে সংগঠনটি জানায়। বিকেল সাড়ে ৪টায় মির্জা ফখরুল কাকরাইলে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে আহত নেতা-কর্মীদের দেখতে যান এবং তাদের খোঁজখবর নেন। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা মনে করি, ছাত্রদলের ওপরে এই হামলা গণতন্ত্রের ওপরে হামলা। আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।’ তিনি বলেন, সফল সম্মেলন ও নির্বাচনের মাধ্যমে ছাত্রদল নতুন উদ্যোগ নিয়ে ছাত্র রাজনীতিতে প্রবেশ করছিল। সে সময়ে আওয়ামী লীগের ‘ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা’ আজকে ছাত্রদলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ নেতা কর্মীদের আক্রমণ করে। একে ন্যক্কারজনক ঘটনা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য অশনিসংকেত।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, গত কয়েক দিনে গণমাধ্যমে আওয়ামী লীগের অনুসারীদের চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজির খবর বের হচ্ছে। তারা সন্ত্রাস করে আসছে। যার একটি নজির আজকে দেখা গেল।

ছাত্রদলের নতুন নেতৃত্ব সুসংগঠিত হতে পারবে এবং দেশের ছাত্র রাজনীতিতে অবদান রাখতে পারবে— আশা প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির ক্ষেত্রেও তারা অবদান রাখবে। আর সন্ত্রাসীরা এই ছাত্রদলের নেতৃত্বেই পরাজিত হবে।

মির্জা ফখরুলের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক ছাত্র নেতা খায়রুল কবির, হাবিব উন নবী খান, শহিদউদ্দিন চৌধুরী, শফিউল বারী নবনির্বাচিত সভাপতি ফজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রমুখ।

হামলার ঘটনার পরপরই মির্জা ফখরুল নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতি বলেন, এই হামলা আওয়ামী ছাত্রলীগের একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসনের বহিঃপ্রকাশ। রাষ্ট্র ও সমাজ থেকে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার মতো তারা শিক্ষাঙ্গনে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখতে চায় না। ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিদ্যমান থাকলে ঐক্যবদ্ধ ছাত্রসমাজ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করবে। এই ভয়ে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ এখন লাঠিয়ালের ভূমিকা পালন করছে।

ছাত্রলীগের হাতে বই, খাতা, কলমের পরিবর্তে অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এসব কারণেই শিক্ষাঙ্গনগুলো রক্তাক্ত এবং ছাত্রলীগ চাঁদাবাজ হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছে। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনদের সংগঠন ছাত্রলীগ এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অঘোষিত শাসকে পরিণত হয়েছে। ছাত্রলীগ চাঁদাবাজি, ভর্তি বাণিজ্য, সিট বাণিজ্য, নকল বাণিজ্য ও প্রশ্নপত্র ফাঁস বাণিজ্যে লিপ্ত হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।