অপরাধী ধরায় চুনোপুঁটি বা রাঘববোয়াল বলে কিছু নেই

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ফাইল ছবি
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ফাইল ছবি

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, অবৈধ জুয়া ও ব্যবসার বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে অপরাধী ধরার ক্ষেত্রে কে চুনোপুঁটি আর কে রাঘববোয়াল বা গডফাদার, তা বিবেচনা করা হচ্ছে না।

সচিবালয়ে আজ সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যে অপকর্ম করছে, তাকেই আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। এখানে চুনোপুঁটি বা রাঘববোয়াল বলে আমাদের কাছে কিছু নেই। রাঘববোয়ালও যদি অপরাধ করে থাকেন, আমরা তাঁকেও ধরছি। আমাদের সংসদ সদস্যরাও বাদ যাচ্ছেন না। নির্বাচিত সংসদ সদস্যরাও আইনের আওতায় চলে আসছেন। কাজেই রাঘববোয়াল বলে আমাদের কাছে কিছু নেই।’

মন্ত্রী আরও বলেন, কিছু অবৈধ ব্যবসা ও টেন্ডারবাজির বিষয় সরকারের কানে এসেছে এবং এতে জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ শুরু করেছে। তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবিদ বা যে-ই হোক, যারা অপরাধ করেছে, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। যে অপরাধ করবে, আইনের চোখে সে–ই অপরাধী। তাদেরই আইনের আওতায় আনা হবে।’

অবৈধ ক্যাসিনো ও ব্যবসায় আগে কেন নজর দেওয়া হয়নি—এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘যখনই আমাদের নজরে আসছে, তখনই আমরা ধরছি। হয়তো সম্প্রতি দু-একজন উল্লেখযোগ্য আপনাদের চোখে পড়েছে। এর আগেও কিন্তু আমরা এ ধরনের অভিযান চালিয়েছি।’

অভিযান থেকে বাঁচতে অপরাধীরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য বিমানবন্দর বা স্থলবন্দরে বিশেষ সতর্কতা জারির বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটা চলমান প্রক্রিয়া। এ পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে কোনো বিশেষ সতর্কতা নেই। যারা অপরাধী বা যাদের বিচার চলছে, তাদের তালিকা বিমানবন্দরে থাকে বলে তারা কখনো সেখান দিয়ে দেশ ছেড়ে যেতে পারে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সরকারের জনপ্রিয়তা বাড়াতে বর্তমান অভিযান চালানো হচ্ছে বলে বিবিসি বাংলা যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনার কি মনে হয় প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তার ঘাটতি রয়েছে? উনি জনপ্রিয়তার জন্য নয়, সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এখন আমাদের নির্দেশনা দিচ্ছেন। সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে এসব অবৈধ ব্যবসা কিংবা যারা অবৈধভাবে অন্যায় কিছু করতে চায়, সেগুলো দমন করতে হবে। সে জন্যই আমাদের এ প্রচেষ্টা চলছে। বিবিসি যেটা বলেছে, সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। এর মধ্যে সত্যতা কিছু নেই।’