রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীনের মধ্যস্থতায় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ

প্রথম আলো ফাইল ছবি
প্রথম আলো ফাইল ছবি

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য চীনের মধ্যস্থতায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে নিয়ে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়েছে। ওই ওয়ার্কিং গ্রুপ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের উপযোগী পরিবেশ ফেরাতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, সে সুপারিশ করবে। আগামী মাসে ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪ তম অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠকে এ গ্রুপ গঠন করা হয়। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার বিকেলে (বাংলাদেশ সময় আজ মঙ্গলবার ভোরে) এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের তথ্য সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় চীন এখন ওতপ্রোতভাবে যুক্ত থাকবে। তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান না হলে পুরো অঞ্চলে উগ্রবাদ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই যত দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হয়, ততই মঙ্গল।

নিউইয়র্ক থেকে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, চীনের মধ্যস্থতায় অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার রোহিঙ্গা ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান ও সবশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেছে। দুই দেশের বক্তব্য শোনার পর চীন মত দিয়েছে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের উপযোগী পরিবেশ তৈরির জন্য মিয়ানমারকে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। এ জন্য তিন দেশের কর্মকর্তাদের নিয়ে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা যায়। এই গ্রুপ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির জন্য কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে, সেই সুপারিশ করবে। ওয়ার্কিং গ্রুপের সুপারিশের ওপর পরবর্তী সময়ে তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সূত্রমতে, চীন বলেছে, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান বাংলাদেশ ও মিয়ানমার দ্বিপক্ষীয় সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে করবে। প্রত্যাবাসনের বিষয়ে রোহিঙ্গাদের অবহিত করা ও সচেতন করার কাজটি করবে বাংলাদেশ। পুরো প্রক্রিয়াটি যেন সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়, সে জন্য চীন সব সময় দুই দেশের সঙ্গে যুক্ত থাকবে।

যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম বৈঠক আগামী মাসের যেকোনো সময়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার আশা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তবে বৈঠকটি কোথায় অনুষ্ঠিত হবে সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।