বোনের উত্ত্যক্তকারীকে বাধা দিতে গিয়ে খুন: আসামির মৃত্যুদণ্ড

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বোনকে উত্ত্যক্ত করতে আসা যুবক উজ্জ্বল ইসলামকে (২২) বাধা দিয়েছিলেন আবদুল্লাহ (২৮)। খেপে গিয়ে উজ্জ্বল চাকু দিয়ে আবদুল্লাহকে উপর্যুপরি আঘাত করেন। এতে মারা যান আবদুল্লাহ। এই ঘটনায় করা মামলায় আদালত উজ্জ্বলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।

কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী আজ মঙ্গলবার দুপুরে এই রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত উজ্জ্বল কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বাসিন্দা।

কুষ্টিয়া আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অনুপ কুমার নন্দী প্রথম আলোকে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ ১৯ জন সাক্ষী উপস্থাপন করে। উজ্জ্বলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাঁকে সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছেন। তাঁর উপস্থিতিতেই এই রায় দেওয়া হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামি উজ্জ্বল তাঁর এক মেয়ে সহপাঠীর সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক করেন। তাঁরা দুজনই কলেজপড়ুয়া। একপর্যায়ে উজ্জ্বল ওই মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। তবে এতে মেয়েটি রাজি হননি। এরপর উজ্জ্বল নিয়মিত মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করেন। ২০১৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় উজ্জ্বল মেয়েটির বাড়িতে যান। মেয়েটির ভাই আবদুল্লাহ বাড়ির প্রধান ফটকে উজ্জ্বলকে বাধা দেন। এতে উজ্জ্বল খেপে গিয়ে চাকু দিয়ে আবদুল্লাহকে উপর্যুপরি আঘাত করেন। এতে নিহত হন আবদুল্লাহ। ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় লোকজন উজ্জ্বলকে আটক করে পুলিশে দেয়। এ ঘটনায় ১৫ ফেব্রুয়ারি উজ্জ্বল ইসলামকে একমাত্র আসামি করে মিরপুর থানায় হত্যা মামলা করা হয়। একই বছরের ৩০ জুন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।

আসামিপক্ষের আইনজীবী তানজিলুর রহমান বলেন, আসামির সঙ্গে আলোচনা করে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।