শরীরচর্চা না পারায় শিক্ষার্থীদের মারধর, শিক্ষকের দাবি 'তুচ্ছ ঘটনা'

পাবনার বেড়া উপজেলায় এক শিক্ষকের বেতের আঘাতে আট শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার বেড়া পৌর এলাকার এ এইচ সি তরঙ্গ প্রিক্যাডেট অ্যান্ড হাইস্কুল নামের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আজ মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনা ঘটে। আহত এক শিক্ষার্থীর বাবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

আহত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই স্কুলের শরীরচর্চার শিক্ষক আবদুল বারী প্রায়ই শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তোলেন। আজ সকালে স্কুলের নিয়মিত শরীরচর্চার সময় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থী আবদুল বারীর নির্দেশনামতো শরীরচর্চা করতে ব্যর্থ হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের বেত দিয়ে মারধর করতে শুরু করেন তিনি। এ সময় আটজন শিক্ষার্থী আহত হয়।

ঘটনাটি জানতে পেরে আহত এক শিক্ষার্থীর বাবা মো. শাহনেওয়াজ স্কুলে গিয়ে এ ব্যাপারে প্রতিবাদ জানান। এ সময় অভিযুক্ত শিক্ষকের সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়। জানতে চাইলে শাহনেওয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিক্ষক আবদুল বারী যেভাবে আমার ছেলেসহ আট শিক্ষার্থীকে মারধর করেছেন, তা অত্যন্ত অমানবিক। অন্য অভিভাবকদের কাছ থেকে বিষয়টি শুনে আমি স্কুলে যাই। এ সময় ওই শিক্ষক আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’

অভিযুক্ত শিক্ষক আবদুল বারী বলেন, ‘সমাবেশে দাঁড়িয়ে ওই শিক্ষার্থীরা প্রায়ই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে থাকে। আজও এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে তাদের সামান্য মারধর করা হয়।’

জানতে চাইলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘কয়েকজন শিক্ষার্থী বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করায় শিক্ষক আবদুল বারী তাদের বেত দিয়ে সামান্য মেরেছেন। এতে কেউই আহত হয়নি। ঘটনাটি তুচ্ছ হলেও এক অভিভাবক স্কুলে এসে ওই শিক্ষকের ওপর চড়াও হন। তিনি বিষয়টিকে শুধু শুধুই বড় করার চেষ্টা করছেন।’

ইউএনও আসিফ আনাম সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মারধর করা একেবারেই নিষিদ্ধ। ওই স্কুলে শিক্ষার্থীদের মারধর করা হয়েছে বলে এক অভিভাবকের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’