জেএমবির চার সদস্যকে কারাদণ্ড

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলে নিষিদ্ধ সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) এক সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় দুজনকে চার বছর করে ও একজনকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

টাঙ্গাইলের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরী আজ মঙ্গলবার এ রায় দেন।

যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া আসামির নাম আবু সাঈদ ওরফে সবুজ (৩০)। তিনি বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বাগরা কলোনির বাসিন্দা। সাজার পাশাপাশি তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

চার বছর সাজা পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার ব্রাহ্মণবাড়ি গ্রামের জুয়েল মিয়া ওরফে ওমর ফারুক (৩১) এবং গোপালপুর উপজেলার শাখারিয়া গ্রামের মোসলেম উদ্দিন ওরফে সোহেল (২৮)। তাঁদের দুজনকে দুই হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

দুই বছরে সাজা পাওয়া আসামির হলেন কালিহাতী উপজেলার বল্লভবাড়ি গ্রামের আতাউর রহমান খানকে (৫২)। তাঁকে দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

টাঙ্গাইলের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এস আকবর খান রায়ের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।

আদালত ও মামলার সূত্রে জানা গেছে, জেএমবির সদস্য জুয়েল মিয়াকে ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী একই উপজেলার বল্লভবাড়ি গ্রামের একটি ভাড়া বাসা থেকে আবু সাঈদ ও মোসলেম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম, জিহাদি বই, জঙ্গি প্রশিক্ষণের বিভিন্ন ভিডিও চিত্র উদ্ধার করা হয়। ওই বাড়ির মালিক আতাউর রহমান খানকেও গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাসান বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে কালিহাতী থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান টিটু ২০১৭ সালের ১৭ মে তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জামা দেন।