পরিচয় জানতে চাওয়ায় সেতু থেকে ফেলে দেওয়া হলো ব্যবসায়ীকে

সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন কয়েকজন তরুণ। এ সময় এক ব্যবসায়ী তাঁদের পরিচয় জিজ্ঞেস করে জানতে চান, তাঁরা পড়াশোনা করেন কি না। একপর্যায়ে কথা-কাটাকাটি হলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ব্যবসায়ীকে ধাক্কা মেরে সেতুর নিচের নদীতে ফেলে দেন। পরে এ ঘটনায় জড়িত এক তরুণকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী।

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মিনারমহল এলাকায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ব্যবসায়ীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানায় মামলা হয়েছে।

পুলিশ ও আহত ব্যবসায়ীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সদর ইউনিয়নের মীরের গ্রামের বাসিন্দা চাল ব্যবসায়ী আকমল হোসেন মেয়েকে স্কুল থেকে আনতে যাচ্ছিলেন। মিনারমহলে ফানাই নদের ওপর সেতুতে চার তরুণকে আড্ডা দিতে দেখে এগিয়ে গিয়ে জানতে চান, তাঁরা লেখাপড়া করেন কি না। কিছুক্ষণ পরে দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে তাঁরা ওই ব্যবসায়ীকে ধাক্কা দিয়ে ১৫-২০ ফুট নিচের নদীতে ফেলে দেন। আশপাশের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে তাঁকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

আকমলকে সেতু থেকে ফেলে দেওয়ার কথা শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যান আকমলের ভাতিজা রাহাত হোসেন (২২)। এ সময় তাঁকেও মারধর করেন ওই তরুণেরা। এ সময় এলাকাবাসী ধাওয়া করে জয়নাল আবেদীন (২০) নামের এক তরুণকে আটক করে। পরে তাঁকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আকমলের বড় ভাই কায়েছ আহমেদ বাদী হয়ে জয়নাল ও বেলালের নাম উল্লেখপূর্বক চারজনকে আসামি করে মামলা করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, আকমল কোমরে প্রচণ্ড চোট পেয়েছেন। এ ছাড়া তাঁর দুই পা অবশ হয়ে গেছে। তাঁকে ব্যথানাশক ওষুধ দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে স্থানান্তর করা হয়েছে। রাহাতের ডান কাঁধের হাড় ভেঙে গেছে। তাঁকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়ারদৌস হাসান প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। বেলাল পলাতক। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।