ভৌত ভিত্তির দুর্বলতায় আগামী প্রজন্ম যেন পিছিয়ে না যায়
দেশের আয়তন না বাড়লেও জনসংখ্যা বাড়ছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভবন–রাস্তা-সেতু-বিপণিবিতান-কারখানা নির্মাণের কাজ। আর এসব নির্মাণের মূলে রয়েছে পুরকৌশল বিভাগ। তাই ভৌত স্থাপনার প্রকৌশল চর্চার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতনতা ও সক্ষমতা খুবই জরুরি। ভৌত ভিত্তির দুর্বলতার কারণে আগামী প্রজন্মকে যেন পিছিয়ে যেতে না হয়।
গাজীপুরে অবস্থিত ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) পুরকৌশল বিভাগের লেকচার হলে গতকাল বুধবার দুপুরে অনুষ্ঠিত হয় ‘জিপিএইচ ইস্পাত-প্রথম আলো ইন–জিনিয়াস’ প্রতিযোগিতার অ্যাকটিভেশন পর্বের অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন অতিথিরা।
অনুষ্ঠানে অংশ নেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। এ সময় তাঁদের প্রতিযোগিতার খুঁটিনাটি জানানোসহ পুরকৌশল বিষয়ের নানা দিক তুলে ধরা হয়।
শুরুতেই প্রথম আলোর ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে নির্মিত ‘আলোর পথযাত্রী’ ও জিপিএইচ ইস্পাতের একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর শিক্ষার্থীদের মধ্যে কুইজের সঠিক উত্তরদাতাদের টি-শার্ট উপহার দেওয়া হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা আয়োজকদের কাছে প্রতিযোগিতার নানা বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়টির পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসাহ তৈরিতে এ ধরনের প্রতিযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিভিন্ন দিক উঠে আসবে। তাঁরাও নিজেদের মেধা তুলে ধরার একটি প্ল্যাটফর্ম পাবেন।
জিপিএইচ ইস্পাতের জেনারেল ম্যানেজার গালিব মোহাম্মদ বলেন, ভৌত অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মান অনুসরণের গুরুত্ব বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে এ ধরনের প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে নতুন ধারণা বের করে আনবে। এতে তাঁদের মেধা বিকশিত হবে।
ইন–জিনিয়াস প্রতিযোগিতার বিচারক মাহবুব মোরশেদ বলেন, পুরকৌশল ইজ দ্য মাদার অব অল ইঞ্জিনিয়ারিং (সবকিছুর ওপরে পুরকৌশল বিভাগ)। সুতরাং এ ধরনের প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরকৌশল বিষয়ে অন্য রকম ভালো লাগা তৈরি করবে। এই প্রতিযোগিতা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া উচিত।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রথম আলোর যুব কর্মসূচির সমন্বয়ক মুনির হাসান।
স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতে শুরু হচ্ছে ‘জিপিএইচ ইস্পাত-প্রথম আলো ইন-জিনিয়াস’ নামের ভিন্নধর্মী এ প্রতিযোগিতা। আয়োজকেরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের এবং সদ্য স্নাতক শেষ করা শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন। প্রথমে ওয়েবসাইটে www.prothomalo.com/enginus গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।
ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিতে অ্যাকটিভেশন
ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে গতকাল অ্যাকটিভেশন পর্ব আয়োজন করা হয়। সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন এ এফ আবদুর রউফ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এস এম সিরাজি, পুরকৌশল বিভাগের প্রধান (সান্ধ্যকালীন) অধ্যাপক রবীন্দ্র রঞ্জন সাহা, সহযোগী অধ্যাপক মো. জাহিদ হোসেন খান, সহকারী অধ্যাপক সাগর কুমার পোদ্দার।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ইন–জিনিয়াস প্রতিযোগিতার সমন্বয়কারী ইসরাত জাহান।