শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে ফাঁসাতে গিয়ে খুন

খুনের প্রতীকী ছবি
খুনের প্রতীকী ছবি

যাঁকে খুন করেছেন তাঁর সঙ্গে হত্যাকারী মোহাম্মদ কোরবানের পরিচয় মাত্র দুদিনের। মোহাম্মদ আরিফ নামের ওই যুবক তাঁর কোনো ক্ষতি করেছেন এমন নয়। দুজনের মাঝে কোনো বিরোধও ছিল না। তবু নিরপরাধ আরিফকে খুন করে নিজের শ্বশুরবাড়ির সামনের ধানখেতে ফেলে দিয়ে আসেন কোরবান। উদ্দেশ্য শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে খুনের মামলায় ফাঁসানো। 

২১ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের হাটহাজারীর সফিনগর গ্রামের একটি ধানখেত থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের পচন ধরা লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই যুবকের পকেটে পাওয়া একটি চিরকুটের সূত্র ধরে তদন্তে নেমে গতকাল বুধবার পুলিশ গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদ কোরবানকে। এরপরই বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। পুলিশের জেরার মুখে কোরবান স্বীকার করেন, অজ্ঞাতপরিচয় ওই যুবকের নাম মোহাম্মদ আরিফ (১৮)। ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে আরিফকে খুন করে নিজের শ্বশুরবাড়ির ধানখেতে ফেলে যান তিনি। 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাটহাজারী থানার এসআই মোহাম্মদ আবেদ আলী  বলেন, গ্রেপ্তার মোহাম্মদ কোরবান আলী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরিফকে খুন করার কথা স্বীকার করেছেন। নিহত মোহাম্মদ আরিফের পকেটে একটি চিরকুট পাওয়া যায়। ওই চিরকুটে লেখা ছিল আজমখান, রাশেদ, জাকির, নুরু নামের কয়েক ব্যক্তি ওই যুবককে হত্যা করেছেন। চিরকুটে উল্লেখ করা আজমখান কোরবান আলীর শ্বশুর। বাকিরা তাঁর শ্যালক।

পুলিশ জানায়, হত্যার দুই দিন আগে ১৬ সেপ্টেম্বর চৌধুরীহাট বাজারে কোরবানে সঙ্গে আরিফের পরিচয় হয়। আরিফ স্থানীয় একটি খামারে চাকরি করতেন। নিমন্ত্রণে যাওয়ার কথা বলে ১৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে নয়টার সময় আরিফকে শ্বশুরবাড়ির পাশে ধানখেতে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান তিনি। 

হাটহাজারী থানার ওসি বেলাল উদ্দীন জাহাংগীর বলেন, কোরবান খুনের সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। এ ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। গতকাল তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। স্ত্রীর ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে কোরবান এই ঘটনা ঘটান বলে স্বীকার করেছেন।