অবশেষে ময়মনসিংহে সমাবেশের অনুমতি পেল বিএনপি

বিএনপি
বিএনপি

অবশেষে ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনের সামনের কৃষ্ণচূড়া চত্বরে বিভাগীয় সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সমাবেশস্থলে মঞ্চ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ সমাবেশ। আজ দুপুর দুইটায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা।

বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়ার তথ্য প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর।

সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতারা যোগ দেবেন। গতকাল রাতে ও আজ সকালে বিএনপির বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা ময়মনসিংহে এসেছেন।

বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা যায়, আজকের সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ৯ সেপ্টেম্বর বিএনপির পক্ষ থেকে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত আবেদন করে দলটির ময়মনসিংহ জেলা দক্ষিণ ও উত্তর শাখা। আবেদনে ময়মনসিংহ সার্কিট হাউস মাঠ, টাউন হল চত্বর অথবা রেলওয়ে স্টেশনের সামনে কৃষ্ণচূড়া চত্বর—এর যেকোনো একটি স্থানে সমাবেশ করার অনুমতি চায় দলটি। এরপর বিএনপির পক্ষ থেকে বারবার অনুমতির জন্য পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমতি দেয়নি।

বিএনপির নেতাদের দাবি, পুলিশ লিখিত অনুমতি না দিলেও মৌখিকভাবে একাধিকবার আশ্বাস দিয়েছে। সর্বশেষ গতকাল বুধবার মৌখিক আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে কৃষ্ণচূড়া চত্বরে সমাবেশের জন্য মঞ্চ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। সন্ধ্যার পর পুলিশ সেই মঞ্চ নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেয়। এরপর রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা জেলা প্রশাসক ও পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। রাতে পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিএনপিকে জানানো হয়, উন্মুক্ত স্থানে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। কোনো মিলনায়তনে সমাবেশ করলে অনুমতি দেওয়া হবে।

গতকাল রাত ১১টার দিকে বিএনপির পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত হয়, মিলনায়তনে সমাবেশ করা হবে না। প্রয়োজনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয় দলটি। এরপর আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কৃষ্ণচূড়া চত্বরে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে পুলিশ।

ময়মনসিংহ জেলা দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ বলেন, আজ সকাল থেকেই ময়মনসিংহ নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। দলীয় চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশ করার জন্য দৃঢ় মনোবল ছিল নেতা-কর্মীদের।