সৈয়দ আবুল হোসেন পেলেন বিদ্যাসাগর পুরস্কার

সৈয়দ আবুল হোসেনের হাতে ‘বিদ্যাসাগর পদক’ তুলে দিচ্ছেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত
সৈয়দ আবুল হোসেনের হাতে ‘বিদ্যাসাগর পদক’ তুলে দিচ্ছেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকীর দিনে ‘বিদ্যাসাগর পদক’ সম্মানে ভূষিত হলেন বাংলাদেশের সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন। বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে আজ বৃহস্পতিবার সৈয়দ আবুল হোসেনের হাতে তুলে দেওয়া হয় এই পদক।

সৈয়দ আবুল হোসেনের হাতে এই পদক তুলে দেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী।

অনুষ্ঠানে আরও পাঁচ বিশিষ্টজনকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এই সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। তাঁরা হলেন ড. হরিপদ মণ্ডল, ড. অমিয় কুমার সামন্ত, অধ্যাপক চিত্তব্রত পালিত, অধ্যাপক নৃশিংহ প্রসাদ ভাদুরি ও অধ্যাপক দিলীপ কুমার সিনহা।

পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে অবস্থিত বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। আজ বিদ্যাসাগর থেকে প্রকাশিত ‘বিদ্যাসাগর রচনাবলি’র দ্বিতীয় খণ্ড এবং সৈয়দ আবুল হোসেনের লেখা ‘বিদ্যাসাগর’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবর্ষ উপলক্ষে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে সৈয়দ আবুল হোসেনের হাতে তুলে দেওয়া হয় ‘বিদ্যাসাগর পদক’। ছবি: সংগৃহীত
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবর্ষ উপলক্ষে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে সৈয়দ আবুল হোসেনের হাতে তুলে দেওয়া হয় ‘বিদ্যাসাগর পদক’। ছবি: সংগৃহীত

পদক পেয়ে উচ্ছ্বসিত সৈয়দ আবুল হোসেন বলেছেন, ‘এ পুরস্কার শিক্ষা প্রসার ও সমাজসেবায় আমাকে অবদান রাখতে আরও অনুপ্রেরণা জোগাবে। বিদ্যাসাগরের নামাঙ্কিত এই পদক আমাকে গর্বিত করেছে।’

সৈয়দ আবুল হোসেন আরও বলেন, ‘আমার এলাকা মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় শিক্ষা বিস্তারে আমার অনুপ্রেরণা ছিল বিদ্যাসাগর। আমি আমার এলাকার প্রতিটি গ্রামে বিদ্যাসাগরের অনুপ্রেরণায় শিক্ষার আলো জ্বালিয়েছি। আমার এলাকা এখন বাংলাদেশের শিক্ষা উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত। আমাদের দুই দেশের প্রধান শত্রু দারিদ্র্য ও সাম্প্রদায়িকতা। এই সাম্প্রদায়িকতা ও দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য আমাদের বিদ্যাসাগরের অণুপ্রেরণাকে অস্ত্র করে শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমে দূর করার আন্দোলনে শরিক হতে হবে।’

পদক প্রদানের বিশেষ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী, কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সব্যসাচী বসুরায় চৌধুরী, কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসানসহ বিশিষ্টজনেরা।