চুনোপুঁটিদের ধরে গায়ের গন্ধ দূর করছে সরকার: ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি।

চুনোপুঁটিদের ধরে সরকার নিজেদের গায়ের গন্ধ দূর করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার বিকেলে ময়মনসিংহে দলের বিভাগীয় সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরের রেলওয়ে স্টেশনের কৃষ্ণচূড়া চত্বরে এই সমাবেশ হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল।

মির্জা ফখরুল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চলমান অভিযান প্রসঙ্গে বলেন, জুয়ার টাকায় আওয়ামী লীগের নেতাদের পকেট ভারী হয়েছে। ইতিপূর্বে তাঁরা (আওয়ামী লীগ নেতা) সুইস ব্যাংকে টাকা পাঠিয়েছে। বড় বড় রাঘব বোয়ালেরা বিদেশে টাকা পাচার করেছে। এখন চুনোপুঁটিদের ধরে গায়ের গন্ধ দূর করছে সরকার।

সমাবেশে ফখরুল আরও বলেন, গণতন্ত্রের কথা বলে এখন উল্টো আচরণ করছে বর্তমান সরকার। সরকার নিপীড়ন ও প্রহসনের মাধ্যমে বিএনপিকে ধ্বংস করার পায়তারা করছে। অন্যদিকে নিজেরা ব্যাংক লুট, শেয়ার বাজার লুট ও বিদেশে টাকা পাচারের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে। ভোটের আগে সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ১০ টাকা কেজি দরে চাল ও বিনা মূল্যে কৃষকদের সার দেবে। কিন্তু বাস্তবে এর কোনো প্রতিফলন নেই। এসব কারণে তিনি সরকারকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করেন। তিনি খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দলের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

ময়মনসিংহ জেলা দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে। এতে ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। ময়মনসিংহ দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন, খায়রুল কবীর, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ,শ্যামা ওবায়েদ প্রমুখ।

খন্দকার মোশাররফ ক্যাসিনো ইস্যু নিয়ে বলেন, মসজিদের শহর ঢাকা এখন ক্যাসিনোর শহরে পরিণত হয়েছে। এ দেশে এখন সুশাসন বলে কিছু নেই। এসব দুর্নীতিবাজদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।

বিএনপির পক্ষ থেকে সমাবেশে অভিযোগ করা হয়, এই সমাবেশের অনুমতি নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে অসহযোগিতা করা হয়েছে। গত ৯ মে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়। অথচ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। পরে বেলা ১১টায় পুলিশ নয়টি শর্তে তাদের সমাবেশের অনুমতি দেয়। বিএনপি নেতাদের দাবি, মাত্র ৩ ঘণ্টায় এই সমাবেশের প্রস্তুতি নিতে হয়েছে তাদের।