ক্যাসিনো সামগ্রী আমদানি বন্ধ করা হয়েছে : এনবিআর

মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া ফাইল ছবি
মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া ফাইল ছবি

দেশে ক্যাসিনো সামগ্রী আমদানি বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালানোর আগে আমাদের জানা ছিল না যে, দেশে জুয়া খেলা চলছে। এটি নজরে আসার পরপরই আমরা সংশ্লিষ্ট শুল্ক কর্মকর্তাদের ক্যাসিনো সামগ্রী খালাস না করার মৌখিক নির্দেশ দিয়েছি। এখন কার্যত ক্যাসিনো সামগ্রী আমদানি বন্ধ রয়েছে।’

মোশাররফ হোসেন বলেন,আমদানি নীতিতে আমদানি-নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকায় ক্যাসিনো যন্ত্রপাতি নেই। তবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে, এমন কোনো পণ্য আমদানি করা যাবে না বলে সংবিধানে উল্লেখ আছে। সেই ধারা অনুযায়ী আপাত ক্যাসিনো সামগ্রী আমদানি বন্ধ করা হয়েছে। তবে চূড়ান্তভাবে এর আমদানি বন্ধের জন্য আমদানি নীতি সংশোধন প্রয়োজন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে তিনি আগামী সপ্তাহে চিঠি দেবেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, অবৈধ ক্যাসিনো বন্ধ করা কিংবা সেখানে মানুষের আনাগোনা কমানো রাজস্ব প্রশাসনের কাজ নয়। তবে ২০০৯ থেকে এখন পর্যন্ত ক্যাসিনো সামগ্রীর যন্ত্রপাতি কারা আমদানি করেছে তা খুঁজে বের করা হচ্ছে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর এ নিয়ে কাজ করছে। আমদানিকারকদের বিল অব এন্ট্রি পরীক্ষা করা হচ্ছে।

মোশাররফ হোসেন বলেন, অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৮ ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবারের সদস্য মিলে মোট ২০ জনের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। এর মধ্যে দু-এক জন ছাড়া বাকিদের ব্যাংকের লেনদেন বন্ধের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আরও ১০ থেকে ১২ জনের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, যাদের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে তাঁদের কর ফাঁকি ও অর্থ পাচারের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ক্যাসিনো অভিযান পরিচালনার সময় যেসব নগদ টাকা পাওয়া গেছে, সেসব টাকা আর করের আওতায় আনার সুযোগ নেই। সেগুলো বাজেয়াপ্ত করা হবে। তবে ব্যাংকে যে টাকা পাওয়া যাবে, সেখান থেকে আইন অনুযায়ী কর আদায় করা হবে।