বাসের ভেতরে চালকের সহকারী কিশোরের লাশ

কুড়িগ্রাম কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে এক মিনিবাসের চালকের সহকারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার ওই মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

ঘটনার শিকার কিশোরের নাম শিপন (১৪)। সে জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বাসশ্রমিক মোজাম্মেল হকের ছেলে। শিপনের বড় ভাই রিপনও অন্য এক গাড়ির চালকের সহকারী।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শিপন শাহজালাল পরিবহন (সিলেট-ট ১১০২৬৩) নামের একটি মিনিবাসে কাজ করত। রাতে ওই গাড়িতে থাকত সে। আজ সকালে শ্রমিকেরা দেখতে পান, মিনিবাসটির জানালা খোলা। পরে তাঁরা বাসের ভেতর শিপনের মৃতদেহ দেখতে পান।

শিপনের বড় ভাই রিপন নাসির পরিবহন নামে অন্য একটি মিনিবাসে সহকারীর কাজ করেন। খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থানে গিয়ে ভাইয়ের মরদেহ শনাক্ত করেন।

রিপন মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, দেড় মাস আগে ওই বাসে কাজ নেয় শিপন। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দুই ভাই একসঙ্গে হোটেলে খাবার খান। এরপর যে যার বাসে ঘুমাতে যান। সকালে তিনি খবর পান, শিপনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।

মিনিবাসটির চালক হজরত আলী বলেন, গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে গাড়ি রেখে শিপনকে খাওয়ার টাকা দেন। এরপর তিনি বাড়ি চলে যান। আজ সকালে ফোনে জানতে পারেন, বাসে শিপন মৃত অবস্থায় পড়ে আছে।

কুড়িগ্রাম বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূর আমিন মিলন ও সড়কবিষয়ক সম্পাদক আবদুল লতিফ জানান, ঘটনাটি শ্রমিকদের নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত। এর সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তাঁরা।

কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) রাজু সরকার বলেন, মরদেহ সুরতহাল শেষে মর্গে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।