ছিনতাইয়ের মামলায় যশোর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মুঠোফোন ছিনতাইয়ের অভিযোগে করা মামলায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মসিয়ূর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রব্বানীকে (২৬) গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত নয়টার দিকে যশোর শহরের গরীবশাহ সড়কে এক পথচারীর মুঠোফোন ছিনতাইয়ের সময় স্থানীয় লোকজন তাঁকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

ছিনতাইয়ের শিকার সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে যশোর কোতোয়ালি থানায় ছিনতাইয়ের একটি মামলা করেন। ওই মামলায় রব্বানীসহ দুজনকে আসামি করা হয়েছে। সাজ্জাদ যশোর সদর উপজেলার রঘুরামপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত নয়টার দিকে শহরের গরীব শাহ সড়কের জমি রেজিস্ট্রি কার্যালয়ের সামনে দিয়ে বাইসাইকেল চালাতে চালাতে সাজ্জাদ হোসেন মুঠোফোনে কথা বলছিলেন। এ সময় গোলাম রব্বানী ও তাঁর সহযোগী মোটরসাইকেলে করে পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় রব্বানী বাইসাইকেল আরোহী সাজ্জাদের কাছ থেকে মুঠোফোন ছিনিয়ে নেন। তখন সাজ্জাদ সাইকেল ফেলে রব্বানীকে দৌড়ে ধরে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে নেন। স্থানীয়রা তাঁকে মারধর দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এক যুবকের কাছ থেকে মুঠোফোন ছিনতাইয়ের সময় স্থানীয় লোকজন গোলাম রব্বানীকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। ছিনতাইয়ের শিকার সাজ্জাদ হোসেন দুজনকে আসামি করে ছিনতাইয়ের একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রব্বানীকে আদালতের মাধ্যমে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রব্বানীর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে মারামারির আরেকটি মামলা আছে।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা করে। এক পক্ষের মামলায় গোলাম রব্বানী এজাহারভুক্ত ৫ নম্বর আসামি। রব্বানী বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির ছাত্র। তাঁর বাড়ি জয়পুরহাট জেলা সদরে।