অন্যের পরীক্ষা দিতে এসে কারাদণ্ড তরুণের

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে এসে ধরা পড়ায় ফাহিম ভূঁইয়া (২১) নামের এক তরুণকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। নির্বাহী হাকিম ও কসবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এই আদালত পরিচালনা করেন। আজ শনিবার এই ঘটনা ঘটে।

দণ্ডপ্রাপ্ত ফাহিম উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের সৈয়দাবাদ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সম্মান প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। আজ শনিবার বিকেলেই তাঁকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলহাজতে পাঠানো হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত ও কলেজ কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সৈয়দাবাদ আদর্শ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত পরীক্ষাকেন্দ্র কসবা টি আলী কলেজ। আজ ডিগ্রি (পাস) তৃতীয় বর্ষের সমাজকর্ম বিষয়ের পরীক্ষা ছিল। ওই পরীক্ষায় সৈয়দাবাদ আদর্শ সরকারি কলেজের পরীক্ষার্থী মো. শাহাদৎ হোসাইন অংশ নেননি; বরং তাঁর পরিবর্তে পরীক্ষা দিতে আসেন বন্ধু ফাহিম। বিষয়টি পরীক্ষা পরিচালনা পর্ষদ ও পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মকর্তা মো. হাদিউল ইসলামের নজরে আসে। পরে পুলিশ ও ভ্রাম্যমাণ আদালত এসে তাঁকে আটক করেন। এ সময় ফাহিম নিজের দোষ স্বীকার করে নেওয়ায় আইন অনুযায়ী এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।

জানতে চাইলে নির্বাহী হাকিমমো. জাহাঙ্গীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, অন্যের পরীক্ষা দিতে আসায় ফাহিম ভূঁইয়াকে ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইনের ৩ ধারা মোতাবেক এই কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লোকমান হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ফাহিমকে আজ বিকেলেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।