বেলকুচির যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলাকারী ইউএনও বদলি

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম সাইফুর রহমানকে বদলি করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে তিনি কর্মস্থল ত্যাগ করেন।

গত ২২ মে সাইফুর রহমান উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাজ্জাদুল হকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণ ও হত্যার হুমকির অভিযোগ এনে মামলা করেন। এরপর ২৬ জুন পুলিশ সব আসামিকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দেন। পরে গত ৪ সেপ্টেম্বর আদালত থেকে মামলা খারিজ করে দেওয়া হয়।

সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফারুক আহাম্মদ ইউএনওর বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, বৃহস্পতিবার সাইফুর রহমানকে বদলি করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নিযুক্ত করা হয়েছে মর্মে চিঠি পেয়েছি। বদলির বিষয়টি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই বদলিতে কারও কোনো হাত নেই।

বিদায়ী ইউএনও এসএম সাইফুর রহমান বলেন, ‘আমরা সরকারি চাকরি করি। সরকার যেখানে ঠিক মনে করে সেখানে নিয়ে যায়। তবে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলার পর থেকে অনেকটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছিল। মামলার পর আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। উপরন্তু তদন্ত করে ফাইনাল প্রতিবেদন আদালতে দেওয়া হলে বিচারক মামলাটি খারিজ করে দেন। এমন পরিস্থিতিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে এ কর্মস্থল ত্যাগ করলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘মামলাটি রিভিউয়ের জন্য ইতিমধ্যে আমি আইনজীবী নিয়োগ করেছি।’

এ বিষয়ে সাইফুর রহমানের আইনজীবী নাসিম সরকার হাকিম বলেন, বাদীকে নোটিশ না করে মামলাটি খারিজ করা হয়েছে।

সাইফুর রহমানের করা মামলার এজাহার মতে, ওই যুবলীগ নেতা সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের কাছে অনিয়ম করে আসছিলেন। পাশাপাশি তিনি ও তাঁর লোকেরা খাদ্য গুদামে ধান সরবরাহে বাধা দিচ্ছিলেন। এসব ব্যাপারে তিনি (সাইফুর রহমান) প্রতিবাদ করায় সাজ্জাদুল ক্ষিপ্ত হন। পরে গত ২২ মে দুপুরে সাজ্জাদুল ২০-২৫ জনের একটি দল নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের কক্ষে ইউএনওকে গালিগালাজ করেন। এ সময় তাঁরা ইউএনওকে হত্যার হুমকি দেন। ওই দিনই তিনি সাতজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন, পৌর শ্রমিক লীগের সভাপতি আরমান, কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতি রিয়াদ, যুবলীগ নেতা রিপন, সাইদুল, জহুরুল ও সোহাগ।