গৃহবধূকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে বরগুনায় এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।

একই মামলায় ওই গৃহবধূর শ্বশুর, শাশুড়ি, দেবর ও দেবরের এক বন্ধুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান আজ রোববার বিকেলে এই রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামির নাম সিদ্দিকুর রহমান। তিনি জেলার বেতাগী উপজেলার পূর্ব রানীপুর গ্রামের হাসেম গাজীর ছেলে।

যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া আসামিরা হলেন সিদ্দিকুরের বাবা হাসেম গাজী, মা পারুল বেগম ও ছোট ভাই খোকন গাজী এবং খোকন গাজীর বন্ধু মো. লিটন। রায় ঘোষণার সময় পারুল বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্য আসামিরা পলাতক।

নিহত গৃহবধূর নাম সাজেদা বেগম। তিনি পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার উত্তর ঊরবুনিয়া গ্রামের আবদুল আজিজ বেতাগীর মেয়ে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলাসূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালের এপ্রিলে সাজেদা বেগম ওরফে বেবীর সঙ্গে সিদ্দিকুর রহমানের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পরে সিদ্দিক শ্বশুরের কাছে ১ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। সাজেদার বাবা যৌতুক দিতে অস্বীকার করেন। এই ধারাবাহিকতায় ২০০২ সালের ২০ জুলাই রাত আনুমানিক তিনটার দিকে সিদ্দিক ও অন্য আসামিরা সাজেদাকে বেধড়ক মারধর করেন। পরে সাজেদা গুরুতর অসুস্থ এমন খবর পেয়ে পরদিন সকালে তাঁর বাবা সিদ্দিকের বাড়ি যান। সেখানে গিয়ে মেয়েকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। এরপর তিনি বাদী হয়ে ওই বছরের ১৩ আগস্ট বেতাগী থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন কমল কান্তি দাস।

রায় ঘোষণার পর আসামি পারুল বেগম বলেন, ‘এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।’