টেকনাফে 'বন্দুকযুদ্ধে' ২ রোহিঙ্গা নিহত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। বিজিবি বলছে, নিহত দুজন ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

গতকাল রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া এলাকায় এই ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান প্রথম আলোকে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

নিহত দুজন হলেন মো. জামাল (২৭) ও মো. ইউনুস (২১)। তাঁদের দুজনেরই বাড়ি মিয়ানমারের আকিয়াব জেলায়।

বিজিবির ভাষ্য, জামাল ও মো. ইউনুস দুজনই ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বন্দুকযুদ্ধের স্থান থেকে ৫০ হাজার ইয়াবা বড়ি, দুটি দেশি বন্দুক, তিনটি তাজা কার্তুজ ও তিনটি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে।

টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক বলেন, গতকাল দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া এলাকায় ইয়াবার একটি চালান মজুত করা হয়েছে—এমন খবর পাওয়া যায়। টেকনাফ ২ বিজিবির একটি বিশেষ টহল দল সেখানে অভিযানে যায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে বিজিবির টহল দল ইয়াবা ব্যবসায়ীদের ঘিরে ফেলে। তাঁদের আত্মসমর্পণের জন্য আহ্বান করা হলে তাঁরা অসম্মতি জানান। কিছুক্ষণ পর ইয়াবা ব্যবসায়ীরা বিজিবির টহল দলের ওপর গুলিবর্ষণ করে। বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়। উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ১০ মিনিটের মতো গুলিবিনিময় হয়। ইয়াবা ব্যবসায়ীদের গুলিতে বিজিবির তিন সদস্য আহত হন। পরে বিজিবি ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালায়। এ সময় দুজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁদের উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জাকারিয়া মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, রাতে মোট পাঁচজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন বিজিবি সদস্যরা। তাঁদের মধ্যে তিনজন বিজিবির সদস্য। বাকি দুজন সাধারণ লোক (রোহিঙ্গা)। এই দুজনের শরীরে দুটি করে গুলির চিহ্ন দেখা যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় এই দুজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক বলেন, কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর জরুরি বিভাগের চিকিৎসক দুই রোহিঙ্গাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

গত বছরের ৪ মে থেকে এ পর্যন্ত মাদকবিরোধী অভিযান ও মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে কক্সবাজার জেলায় ৩ নারীসহ ১৬৭ জন নিহত হয়েছেন। নিহত লোকজনের মধ্যে ২ নারীসহ ৪৪ জন মিয়ানমারের নাগরিক।