টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' দুই ব্যক্তি নিহত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গ্রেপ্তারের পর অভিযানকালে তাঁরা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন বলে জানায় পুলিশ।

গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শিলখালী এলাকার সাপমারা পাহাড়ের পাদদেশে এই ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।

ঘটনাস্থল থেকে ৫ হাজার ইয়াবা বড়ি, দুটি দেশীয় অস্ত্র (এলজি) ও সাতটি তাজা কার্তুজ উদ্ধারের দাবি করেছে পুলিশ।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন আবদুল আমিন (৩৭) ও মো. হেলাল উদ্দিন (২১)। আবদুল আমিন টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর শিলখালী গ্রামের অলি খানের ছেলে। হেলাল উদ্দিন টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মৌলভীপাড়া গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে।

পুলিশের ভাষ্য, আবদুল আমিন ও হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে হত্যা, মাদক ও মারামারির অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, গতকাল রাত আটটার দিকে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শিলখালী এলাকা থেকে আবদুল আমিন ও হেলাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুজনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধারে যায় পুলিশ। সাপমারা পাহাড়ের পাদদেশে গেলে আসামিদের ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য তাঁদের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে পুলিশের এসআই সজীব দে, সাইফ উদ্দীন ও কনস্টেবল সেকান্দার হোসেন আহত হন। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়। উভয় পক্ষের বন্দুকযুদ্ধের মাঝে পড়ে আবদুল আমিন ও হেলাল উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাঁদের উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক টিটু চন্দ্র শীল প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দিবাগত রাত একটার দিকে পুলিশ পাঁচজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাঁদের মধ্যে তিনজন পুলিশ। বাকি দুজন সাধারণ মানুষ। এই দুজনের মধ্যে আবদুল আমিনের শরীরে দুটি ও হেলাল উদ্দিনের শরীরে তিনটি গুলির চিহ্ন দেখা যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। আর আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর আবদুল আমিন ও হেলাল উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

পুলিশ জানায়, লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

গত বছরের ৪ মে থেকে এ পর্যন্ত মাদকবিরোধী অভিযানে কক্সবাজার জেলায় ৩ নারীসহ ১৬৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহত লোকজনের মধ্যে ২ নারীসহ ৪৪ জন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা।