সামান্য বৃষ্টিতেই স্কুলের মাঠে পানি

ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মিরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃষ্টির পানি জমেছে। এ কারণে বিদ্যালয় ছুটি দেওয়া হয়। গত রোববার দুপুরে।  ছবি: প্রথম আলো
ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মিরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃষ্টির পানি জমেছে। এ কারণে বিদ্যালয় ছুটি দেওয়া হয়। গত রোববার দুপুরে। ছবি: প্রথম আলো

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কসবা পশ্চিম ইউনিয়নের মিরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের পানিনিষ্কাশনের সুষ্ঠু ব্যবস্থা নেই। এ কারণে সামান্য বৃষ্টিতেই মাঠে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।

গত রোববারও পানি জমে থাকায় বিদ্যালয় ছুটি দেওয়া হয়। এই সমস্যা সমাধানে মাঠটিতে মাটি ভরাট করে উঁচু করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯২৯ সালে ৬০ শতাংশ জায়গা নিয়ে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। একটি পরিত্যক্ত ভবনসহ চারটি ভবন রয়েছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৫৭। শিক্ষক রয়েছেন আটজন। এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতি বছরই সমাপনী পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে থাকে। পিছিয়ে নেই খেলাধুলায়ও।

কিন্তু বিদ্যালয়ের মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় শিক্ষার্থীরা নিয়মিত খেলাধুলা করতে পারে না। সামান্য বৃষ্টি হলেই মাঠসহ আশপাশের এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে এক ভবন থেকে অন্য ভবনে আসা-যাওয়া করা যায় না।

রোববার দুপুরে বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা আরও বেড়ে যায়। এতে বিদ্যালয়ের মাঠসহ আশপাশের এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। বাধ্য হয়ে শিক্ষকেরা বিদ্যালয় ছুটি দেন।

বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. হাসান মিয়া ও আমাতুর রাহিম বলে, মাঠে জলাবদ্ধতার কারণে নিয়মিত খেলাধুলা করা যায় না। একটু বৃষ্টি হলেই একটি ভবন থেকে অন্য ভবনে আসা-যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। তা ছাড়া বিদ্যালয় থেকে রাস্তায় যাওয়া যায় না।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফারুক হোসেন বলেন, পানিনিষ্কাশনের সুষ্ঠু ব্যবস্থা নেই। এ কারণে মাঠটিতে জলাবদ্ধতা লেগেই থাকে। সামান্য বৃষ্টি হলে মাঠে পানি বেড়ে যায়। বিদ্যালয়টিতে একটি ভবনে অফিস কক্ষ এবং অন্যটিতে শ্রেণিকক্ষ আছে। জলাবদ্ধতার কারণে এক ভবন থেকে অন্য ভবনে আসা-যাওয়া করা যায় না। বেশি জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় বাধ্য হয়েই বিদ্যালয় ছুটি দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল আলীম বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাটসহ জলাবদ্ধতা দূরীকরণের বিষয়ে উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় আলোচনা করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

কসবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে বিদ্যালয় ছুটি দিতে হবে, এটি দুঃখজনক। জলাবদ্ধতাসহ মাঠ ভরাটের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে শিগগির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।