ছিনতাই হওয়া মুঠোফোন বেচেন মামা-ভাগনে

প্রতীকী ছবি: রয়টার্স
প্রতীকী ছবি: রয়টার্স

সম্পর্কে তাঁরা আপন মামা–ভাগনে। কম দামে ছিনতাই হওয়া মুঠোফোন কেনেন। বিক্রি করেন বেশি দামে। তাও অন্য দোকানের চেয়ে কম দামে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি তাঁদের। এক ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তারের পর তাঁর কাছ থেকে পাওয়া তথে৵র ভিত্তিতে চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁরা হলেন দোকানদার দোস্ত মোহাম্মদ, খলিলুর রহমান, সাহেদুল ইসলাম ও সোহেল রানা। পলাতক রয়েছেন খোরশেদ আলম। গত সোমবার রাতে নগরের রেয়াজউদ্দিন বাজারে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে ছিনতাইকারীদের থেকে কম দামে কেনা ১৬০টি মুঠোফোন উদ্ধার করে পুলিশ।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন প্রথম আলোকে বলেন, গত ২৯ সেপ্টেম্বর নগরের লাভলেইন থেকে নজরুল ইসলাম নামের এক ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে পাওয়া তথে৵র ভিত্তিতে রেয়াজউদ্দিন বাজারে অভিযান চালানো হয়। সেখানে কিছু ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম নগরে চুরি, ছিনতাই হওয়া মুঠোফোনগুলো ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে কম দামে কেনেন। অন্য ব্যবসায়ীরা যে দামে বিক্রি করেন তার চেয়ে কম দামে চোরাই মুঠোফোনগুলো বিক্রি করে আসছেন। এ কারণে তাঁদের গ্রাহকও বেশি। আর ছিনতাইকারীরাও সব দোকানে এসব মুঠোফোন বিক্রি করতে পারেন না।

অভিযান চালিয়ে রেয়াজউদ্দিন বাজারের দোস্ত মোহাম্মদের আলিফ ইলেকট্রনিকস থেকে ৭৩টি, খলিলুর রহমানের এন কে মোবাইল থেকে ৬৫টি, পলাতক খোরশেদের দোকান থেকে ২২টিসহ ১৬৫টি মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়। তাঁরা এগুলোর কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। একপর্যায়ে ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে কেনার কথা স্বীকার করেন।

কম দামে হলেও ছিনতাই, চুরি হওয়া এসব মুঠোফোন নগরবাসীকে না কেনার অনুরোধ করেন কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এসব মুঠোফোনের মাধ্যমে যদি কোনো অপরাধ করা হয়ে থাকে তবে চোরাই মোবাইল ক্রেতা দোষী না হলেও পরবর্তীতে ফেঁসে যেতে পারেন।