কুষ্টিয়ায় পদ্মার পানি বাড়ার হার কমেছে, বেড়েছে গড়াইয়ে

পানির স্রোতে বিলীন হচ্ছে খারিজারথাক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। সরকারপাড়া, চিলমারী, কুষ্টিয়া। ছবি: তৌহিদী হাসান
পানির স্রোতে বিলীন হচ্ছে খারিজারথাক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। সরকারপাড়া, চিলমারী, কুষ্টিয়া। ছবি: তৌহিদী হাসান

কুষ্টিয়ায় পদ্মার পানি বৃদ্ধির হার কমেছে। গত ১২ ঘণ্টায় এখানে মাত্র দুই সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। তবে সেই তুলনায় পদ্মার শাখা গড়াই নদে পানি বৃদ্ধির হার একটু বেশি। সেখানে গত ১২ ঘণ্টায় পাঁচ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।

কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী পীযূষ কৃষ্ণ কুন্ডু প্রথম আলোকে বলেন, পদ্মায় পানি বৃদ্ধির হার অনেক কমেছে। এর আগে যেখানে ১২ ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ সেন্টিমিটার বাড়ছিল, সেখানে এখন মাত্র দুই সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। আশা করা যাচ্ছে, দুই এক দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

পদ্মায় এখন বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে পদ্মায় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে ২০০৩ সালে সর্বোচ্চ ১৪ দশমিক ২৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত পানির উচ্চতা বেড়েছিল। তারও আগে ১৯৯৮ সালে একবার পানির সর্বোচ্চ উচ্চতা পরিমাপ করা হয়েছিল ১৫ দশমিক ১৯ সেন্টিমিটার। গড়াইয়ে পানি বেড়ে যাওয়ায় সদর উপজেলা ও কুমারখালী উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হচ্ছে।

কুষ্টিয়ার চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ৩৫ গ্রামের ৫০ হাজার বানবাসী মানুষ বেঁচে থাকার সংগ্রাম করছে। চিলমারীর বাসিন্দারা বলছেন, বন্যার পানি সাধারণত তিন থেকে চার দিন স্থায়ী থাকে। সেখানে এবার দশ দিন হয়ে গেল। এ নিয়ে তারা খুবই আতঙ্কে আছেন। বৃদ্ধ ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাচ্ছে। পানি কমলে পানিবাহিত রোগ দেখা দেওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।