সচিবালয়ের পরিবার কল্যাণ বিভাগে দুদকের অভিযান

স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে বৈদেশিক প্রশিক্ষণে জনবল মনোনয়নে অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি বিশেষ দল। আজ বুধবার এ অভিযান চালানো হয়।

দুদকের মুখপাত্র প্রণব কুমার ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুদকের অভিযোগ কেন্দ্রে (টোল ফ্রি হটলাইন-১০৬) অভিযোগ পেয়ে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযোগে আসে, মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ থেকে স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে এমন অনেক ব্যক্তিকে বৈদেশিক প্রশিক্ষণে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, যাঁদের প্রশিক্ষণের বিষয়ের সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অর্থের ব্যাপক অপচয় করা হয়েছে।

অভিযোগ পেয়ে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শেখ গোলাম মাওলা ও উপসহকারী পরিচালক বিলকিস আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল মন্ত্রণালয় এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে অভিযান পরিচালনা চালায়। সরেজমিন অভিযানে দলটি জেনেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ থেকে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডে প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা পদমর্যাদার ২১ জনকে এমন বিষয়ে বৈদেশিক প্রশিক্ষণের জন্য মনোনীত করা হয়েছে, যাঁদের প্রশিক্ষণের বিষয়ের সঙ্গে কাজের ন্যূনতম সম্পৃক্ততা নেই।

এ ছাড়া পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আইইএম ইউনিট, এমসিআরএএইচ ইউনিট এবং সিসিএসডিপি ইউনিটের প্রশিক্ষণার্থী মনোনয়নের বিষয়ে একই ধরনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের দলটি প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহ করে। নথিপত্র বিশ্লেষণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত চেয়ে কমিশনে বিস্তারিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে দলটি।