স্ত্রী-ছেলেকে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খুলনায় স্ত্রী ও ছেলেকে রূপসা সেতুর ওপর থেকে ধাক্কা দিয়ে নদীতে ফেলে হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী এই দণ্ডাদেশ দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তির নাম অন্তর হোসেন রমজান (৩৭)। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি খুলনার খালিশপুর এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী এনামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, রমজানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। এ মামলায় ১৪ জনের মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

মামলার এজাহার ও আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৭ জুন সকালে রমজান বরিশালে আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে তাঁর স্ত্রী তৈয়েবা খাতুন (২২) ও ১৪ মাস বয়সী ছেলে আবদুর রহিমকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। বিকেলে রূপসা সেতু এলাকায় ঘুরতে যান তাঁরা। আগের ঘটনার সূত্র ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মায়ের কোল থেকে জোর করে ছেলেকে কেড়ে নিয়ে সেতুর ওপর থেকে রূপসা নদীতে ফেলে দেন রমজান। এতে স্ত্রী তৈয়েবা খাতুন কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং চিৎকার করে সন্তানকে উদ্ধারের জন্য স্বামীর কাছে আকুতি–মিনতি করতে থাকেন। এমন পরিস্থিতিতে রমজান আরও ক্ষিপ্ত হয়ে হাত-পা চেপে ধরে সেতুর ওপর থেকে স্ত্রীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। ওই এলাকায় ঈদ উপলক্ষে ঘুরতে আসা লোকজন রমজানকে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এরপর পুলিশ নদী থেকে তৈয়েবা খাতুন ও শিশুপুত্র আবদুর রহিমের লাশ উদ্ধার করে। পরে তৈয়েবা খাতুনের মা রশিদা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন।

রায়ের বিষয়ে মামলার বাদী রশিদা বেগম বলেন, ‘আমি রায়ে খুবই খুশি। আর কোনো মায়ের বুক যেন এভাবে খালি না হয়, সে জন্য অপরাধীদের এ রকম শাস্তিই দরকার। উচ্চ আদালতেও যেন এই রায় বহাল থাকে এবং রায় দ্রুত কার্যকর হয়, সেই আবেদন রাখছি।’