গাছ থেকে অরবরই খাওয়ায় মারধর, স্কুলছাত্রের মৃত্যু

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গাছ থেকে অরবরই ছিঁড়ে খাওয়াকে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনায় চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মজলিশপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ওই স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করে আজ বৃহস্পতিবার সকালে মর্গে পাঠিয়েছে।

ওই স্কুলছাত্রের নাম অন্তর চন্দ্র দাস (১১)। সে নরসিংদীর সদর এলাকার স্বপন চন্দ্র দাসের ছেলে। গাজীপুরের লাঠিভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল অন্তর।

অন্তরের বাবা স্বপন চন্দ্র দাস পরিবার নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মজলিশপুর এলাকায় বসবাস করেন। তিনি নদী ও বিল থেকে মাছ ধরে বিক্রি করেন ও মাঝেমধ্যে ট্রাকের চালকের সহকারী হিসেবে কাজ করেন।

অন্তরের পরিবার ও পুলিশ জানায়, এক সপ্তাহ আগে স্কুলছাত্র অন্তরসহ দু-তিন শিশু মজলিশপুর টেক এলাকার একটি বাগানে যায়। সেখানে একটি গাছ থেকে তারা অরবরই ছিঁড়ে খায়। এ সময় এক ব্যক্তি তাদের ধাওয়া করে অন্তরকে আটক করেন। অন্য দুই শিশু পালিয়ে যায়। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি অন্তরকে ধরে বেদম মারধর করে ছেড়ে দেন। মারধরের পর অন্তরের কান দিয়ে রক্ত পড়তে থাকে। এতে অন্তর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাকে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়। তার অবস্থার আরও অবনতি হলে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বুধবার দিবাগত রাতে অন্তর মারা যায়। এরপর স্বজনেরা তার লাশ গাজীপুরের বাসায় নিয়ে যান। পুলিশ এলাকাবাসীর কাছ থেকে শিশুটির অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে আজ সকালে অন্তরের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক প্রণয় ভূষণ দাশ বলেন, শিশুটির ডান কানের নিচে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল। ওই আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে।

গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এজাজ শফি বলেন, না বলে গাছ থেকে বরই ছিঁড়ে খাওয়াকে কেন্দ্র করে ওই স্কুলছাত্রকে মারধর করা হয়। সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে গেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাঁর নাম গোপন রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা হবে।